মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পাওয়ায় সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলতে বসেছে। স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে বাড়ছে এর আবাদের পরিধি।
বিদেশি স্কোয়াশ গাছ দেখতে মিষ্টি কুমড়ার মতই। ঘন গাছের প্রায় প্রতিটি ডগায় স্কোয়াশ ধরে। দেখতে অনেকটা লম্বাকৃতির এ সবজির বেশ চাহিদা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ২০শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে হামিদুল ইসলাম সবার নজর কেড়েছেন। উপজেলায় তার মতো অনেকে এই ফসল চাষ করে সফল হয়েছেন।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভিমলপুর গ্রামের চাষি হামিদুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর ধরে তিনি তার জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলালেও এবার উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগীতায় ৬০০ স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর তার ২০শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে স্কোয়াশ চারা রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে পরিচর্যা করেছি। আমি এই প্রথম চাষ করছি, তাই পরিচর্যা বুঝতে একটু সময় লেগেছে। তবে একটি স্কোয়াশ বাজারে ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। সম পরিমাণ জমিতে একই খরচে অন্য ফসল ফলালে হয়ত এমন লাভ সম্ভব হত না।
তিনি আরও বলেন, স্কোয়াশ সবজি হিসেবে এই এলাকায় নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে আশপাশের স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষিরা আসছেন। তার স্কোয়াশ চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরা বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলায় আমাদের পরামর্শে ১৫ জন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছে। উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজি স্কোয়াশ, কম খরচ ও কম সময়ে এই সবজি চাষ করে চাষি লাভবান হচ্ছে বলে আগামীতে উপজেলায় স্কোয়াশ চাষের প্রসার ঘটবে বলেও আশা করেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply