আফসানা আক্তার,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বড় বড় জলাশয় এখন ভিন দেশি পাখির কলকাকলিতে মুখর। শীতের আগমণী বার্তায় প্রতি বছর হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে অতিথি পাখি আসে আনোয়ারার বড় বড় পুকুর ও দিঘিতে। এসব পাখি দল বেঁধে এসব জলাশয়ে নেমে মনের সুখে সাঁতরে বেড়ায়। এ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের উপকূলে সাগরের স্নিগ্ধ বাতাসে ঢেউয়ের তালে তালে পাখিদের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য নজর কাড়ছে পর্যটকদের।
উপজেলায় অবস্থিত মনু মিয়ার দিঘি, সুরতবিবির দিঘি, পদ্মাপুকুর, খাসখামা ও গুজুরা দিঘি ঘুরে দেখা যায়, জলপিপি, রাজসরালি, লালবুবা, পানকৌড়ি, বক, শামুককনা, চখপখিম, সারস, কাইমা, শ্রাইক, হরিয়াল, নারুন্দি, মানিকজোড়া, বালিহাঁস, পাতিহাঁস, লেজহাঁস, পেরিহাঁস, চমাহাঁস, গাং কবুতর, বনহুর, সাগর কৈতর, সি-গালসহ অসংখ্য প্রজাতির হরেক রকমের দেশি ও বিদেশি পাখি ঝাঁকবেঁধে এসব পুকুর-দিঘিতে উড়ে বেড়াচ্ছে। সকাল-বিকাল এসব পাখি দেখতে দিঘি গুলোর আশেপাশে ভীড় জমাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিকেরা। শীতের শুরুতেই হঠাৎ করেই এসব পাখিদের আগমন ঘটে আর শীতের শেষের দিকে আবার হঠাৎ করেই পাখিগুলো উধাও হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
নারায়ন সুশীল কাঞ্চন নামের গুজুরা এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গুজুরা দত্তরহাটের পাশের এই দিঘিটাতেই ছোটোকাল থেকেই শীত মৌসুমে আমরা অতিথি পাখি দেখে আসতেছি। শীতের শুরুতে পাখিগুলো আসে আবার একটু একটু গরম পড়তে লাগলে পাখিগুলো চলে যায়। সকাল-বিকেল আমার ঘর থেকে পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ শুনতে পাই। খুবই সুন্দর লাগে তাদের উড়েবেড়ানোর দৃশ্য।
উপকূলে ঘুরতে আসা হাবিবা জান্নাত নামের এক পর্যটক জানান, শীতে সাগর দেখতে আসার অনুভূতিটাই ভিন্ন রকম। কারণ এসময় সাগর দেখার পাশাপাশি নানারকমের পাখিও দেখতে পাওয়া যায়৷ তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে সাগর দেখতে বেশি আসা হয়। বিশেষ করে সাগর উপকূলে উড়ে বেড়ানো গাঙ চিলের দৃশ্য খুবই চমৎকার লাগে আমার কাছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরু থেকেই উপজেলায় অতিথি পাখির বিচরণ লক্ষ্য করা যায়।কেউ যাতে এসব পাখি শিকার করতে না পারে সে জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করা ছাড়াও নানা ধরনের ব্যবস্হা নিয়ে থাকি।
Leave a Reply