1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
  2. dailyaparadhatallase2022@gmail.com : aparadha tallase : aparadha tallase
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সিআইডি পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ ভাউলার হাট মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় ১ পথচারীর মৃত্যু ফরিদপুরে সালথা উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ফারুক ফকিরের লিফলেট বিতরণ  একশত তিন বছর বয়সে সংসারের ভার খইমুদ্দিনের কাঁধে অসহায় নারী ,পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন মুন্সিগঞ্জে এমন কোনো অত্যাচার নেই, যেটা ১৫ বছরে আ.লীগ করেনি: শহীদ চাচার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভাতীজা, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ’র দাবিতে বান্দরবানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ

অভয়নগরে ধ্বংসের পথে মাটির তৈরি শিল্প

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৩ বার পঠিত

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগেও ভৈরব নদের বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙর করা থাকতো সারি সারি ট্রলার। সেসব ট্রলার থেকে মাটি নামানোর কাজে ব্যস্ত থাকতো অনেকে।

আবার কেউ কেউ ব্যস্ত থাকতো সেই মাটি দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন প্রকারের জিনিষপত্র ট্রলারে উঠাতে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের জন্য বিখ্যাত ছিল উপজেলার দেয়াপাড়াসহ অনেক গ্রামে মাটির তৈরি জিনিষপত্র। কিন্তু সময়ের দাপটে প্লাস্টিক ও সিলভারের তৈরি জিনিষপত্রের কাছে হার মেনেছে মাটির তৈরি জিনিষপত্র। চাহিদা না থাকায় উপজেলায় এখন নামেমাত্র টিকে আছে এই শিল্পটি। উপজেলায় এখন মাত্র শ’ খানেক পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিন বিষয়টি জানান, অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া গ্রামের পালপাড়া এলাকার গোপাল পাল (৫৮)। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখার সুযোগ পাননি তিনি। এছাড়া বাপ-দাদার পেশার প্রতি দরদ থাকায় এ পেশাতেই কেটে গেছে জীবন। তবে তার ঘরে জন্ম নেওয়া দুই ছেলে সন্তানের কেউই এ পেশায় নেই বলে জানান তিনি।

 

ছেলের বউদের নিয়ে অবসর সময় কাটানোর জন্য কোন রকমে নামেমাত্র ধরে রেখেছেন বাপ-দাদার পেশাটি। তবে উপজেলার সিদ্দিপাশার, ধুলগা , বাঘুটিয়া, মধ্যপুর, নওয়াপাড়া এলাকার পালপাড়ার কয়েক হাজার পরিবারের অর্থ উপার্জন করার অন্যতম মাধ্যম ছিল ওই মৃৎ শিল্প। মাটির হাঁড়ি, ঢাকনা, বদনা, পানির চার, ফুলের টব ও চালের জালাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের জিনিষপত্রাদি তৈরি করতেন ওই মৃত শিল্পীরা। আশপাশের উপজেলাগুলোতে তাদের তৈরিকৃত মাটির জিনিষপত্রের চাহিদা ও সুনাম ছিল। উপজেলার উত্তর দেয়াপাড়া পালপাড়া এলাকার মৃত হরিপদ পালের ছেলে হারান পাল জানান, এখন আর আগের মতো মাটির তৈরি জিনিষপত্রের চাহিদা নেই। শুধু অর্ডার পাওয়া দইয়ের পাতিল তৈরি করে তারা তাদের ওই পেশাটি কোনরকমে টিকিয়ে রেখেছেন। তবে তার ছেলে এবং ভাতিজারা কেউই আর এই পেশায় নেই ও ওই এলাকা থেকে অনেকে আবার ভারত চলে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম আবু নওশাদ জানান, মৃৎ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য মৃৎ শিল্পীদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতায় করা হয়ে থাকে।এছাড়া তাদের যদি নির্দিষ্ট কোন দাবি দাওয়া থাকে সেগুলো লিখিতভাবে অবহিত করা হলে পরবর্তীতে সেই ব্যাপারে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park