1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
  2. dailyaparadhatallase2022@gmail.com : aparadha tallase : aparadha tallase
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অভয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীর উপর হামলা ১ জন আহত, থানায় মামলা ডাসারে গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা  লামা উপজেলায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাংবাদিকদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ‘পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন বিষয়ক সভা ফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ, আহত ৪ অভয়নগরে মানুষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির আত্মহত্যা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সিআইডি পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ ভাউলার হাট মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় ১ পথচারীর মৃত্যু ফরিদপুরে সালথা উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ফারুক ফকিরের লিফলেট বিতরণ  একশত তিন বছর বয়সে সংসারের ভার খইমুদ্দিনের কাঁধে

অভয়নগর থেকে কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ সন্ধ্যাবাতি ‘হারিকেন’

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৯ বার পঠিত

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোরের অভয়নগর থেকে কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সন্ধ্যাবাতি হারিকেন। গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে এক সময় আলোর অন্যতম বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো সন্ধ্যাবাতি হারিকেন। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের দু-এক বাড়িতে হারিকেন পাওয়া গেলেও দেখা যায় ব্যবহার না করায় সেগুলোতে ময়লা ও মরিচা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখন আর কোনো ঘরে কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হাজার বছরের ঐতিহ্যের বাহন সেই হারিকেন এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ এখন থেকে ১৫/২০ বছর আগেও যেখানে বেশিরভাগ ঘরেই ব্যবহার হতো হারিকেন, আর ২০ বছর পরে এসে সেইরূপ এখন পুরোটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ২০ বছর আগেও চিত্রটি ছিল এমন যে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সাঁঝের বেলায় নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন সন্ধ্যায় ঘরের আলো জ্বালানো নিয়ে।

 

কালের বিবর্তনে, যশোরের অভয়নগর উপজেলাসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় সবার ঘর থেকে হারিকেন হারিয়ে গেছে। সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিটি ঘরের চিত্রটাই পাল্টে গেছে। গ্রামীণ সমাজের সন্ধ্যাবাতি হারিকেন এখন অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে। সমাজ পরিবর্তন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন বিলুপ্তি হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক বাতি, চার্জার ও সৌর বিদ্যুতের নানা ব্যবহারের ফলে হারিকেনের ব্যবহার এখন আর দেখা যায় না। অভয়নগর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এখন হারিকেন যেমন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর তেমনি বিদ্যুৎ নেই এমন গ্রামও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে হারিকেনের জায়গা দখল করে নিয়েছে সৌর বিদ্যুতের আলো বা চার্জার লাইট। প্রতি সন্ধ্যায় হারিকেনের চিমনি খুলে, ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ছিপি খুলে কেরোসিন তেল ঢেলে আবার ছিপি লাগিয়ে রেশার মধ্যে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে তা নির্দিষ্ট সীমারেখায় রেখে ঘরের মেঝে জ্বালিয়ে রাখত। ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা ও কিছুটা ছড়াকারের মত এক ধরনের কাপড় ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

 

আলো কমানো ও বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি গিয়ার ছিল। হাতের সাহায্যে তা ঘুরিয়ে আলোর গতিবেগ কমানো ও বাড়ানো যেতো। রাতে ঘুমানোর সময় আলো কমিয়ে সারারাত হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো। তখন কুপি ছিল কয়েক প্রকার। একনলা, দুইনলা, একতাক, দুই তাকের, পিতল ও সিলভারের। তবে সিলভার, টিন এবং মাটির তৈরি বাতির ব্যবহার ছিল খুব বেশি। বাতির নলে আগুন জ্বালানোর জন্য ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো কিংবা পাটের সুতলি। চিকন আর লম্বা করে ৫-৬ ইঞ্চির দৈর্ঘ্যরে ওই ফিতা বা রেশা বাতির নল দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতো। প্রতিদিন এর কিছু অংশ জ্বলে পুড়ে যেত। ফের পরের দিন আবার একটু উপরের দিকে তুলে দিতো।এক পর্যায়ে তা পুড়ে গেলে আবার নতুন করে লাগানো হতো। এটা ছিল নারীদের সন্ধ্যাবেলার দৈনন্দিন কাজের বিশেষ একটি অংশ। এই বাতি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতো। এছাড়াও রাতের সকল কাজ, যেমন রান্না-বাড়া, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, ধান মাড়ানোসহ সকল চাহিদা মেটানো হতো এই আলো দিয়ে। এখন আর চোখে পড়ে না হারিকেন ও বাতির কথা।

যারা শহর এলাকায় বাস করছেন বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম তো এখনো চোখে দেখেনি হারিকেন ও বাতির কথা। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন কালের আবর্তে ডিজিটাল যুগে এই হারিকেন নামীয় বস্তুটি কোন এক সময়ে স্মৃতি যাদুঘরে দেখা যাচ্ছে অতীত স্মৃতি হয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park