মোজাম্মেল সরকার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এক কিশোরী ধর্ষণ ঘটনার শালিস মিমাংসার খবর প্রচার করায় মাদারীপুরে বাংলাভিশন টিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন মুপ্তিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানিসহ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন ঘটমাঝি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আকতার। অন্য দুই আসামি হলেন এশিয়ান এজ পত্রিকা ও কলকাতা এক্সপ্রেসের জেলা প্রতিনিধি ও বিএমএসএফের সাবেক সম্পাদক সাব্বির হোসেন আজিজ, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাসুদ হোসেন খান।
বাদী প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ না করে সরাসরি সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে ওই চেয়ারম্যান মাদারীপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বুধবার ১৫ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। সাংবাদিকদের গ্রেফতারের জন্যে একইদিনে তিনি আদালত থেকে ওয়ারেন্ট করিয়েছেন বলেও জানাগেছে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিরা অপরাধ ঢাকতে মানহানির ধুয়া তুলে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি দায়ের করে। একই সাথে ৩৮৫ ধারার অপরাধ সংযুক্ত করে হয়রানির নীলনকশা আঁকছে। তিনি বলেন,ধর্ষণের মত স্পর্শকাতর এ অভিযোগের বিচার জেলা জজ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতা রাখেন না। তবে কোন ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান কিংবা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিচারটি সম্পন্ন করলেন সেটিও কিন্তু একন বিবেচ্য বিষয়।
অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন; নইলে ওই চেয়ারম্যানের সকল অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে। তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে ওই তিন সাংবাদিককে আইনী সহায়তা দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান নিজে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে আছেন। ফরিদ উদ্দিন মুপ্তি অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নে একটি ধষর্ষণের ঘটনায় ৪ লাখ টাকায় রফাদফা হয়। দৈনিক সমকালসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানিসহ চাঁদা দাবিরও অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
Leave a Reply