মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
চলছে শারদীয় দূর্গা পুজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি। অনেকের শেষ হয়েছে কেনা কাটা। বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই পুজোর নতুন সাজে সাজবে। তবে ব্যতিক্রম থাকবে সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষগুলো। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীরা দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পুজার শেষ মুহুর্তে এগিয়ে এসেছেন আনন্দ কুমার গুপ্ত।
বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার শ্রী শ্রী শিব মন্দিরসহ কয়েকটি স্থানে শতাধিক অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে পুজার বস্ত্র বিতরণ করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত। এসময় উপস্থিত ছিলেন খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পুজা উদযাপণ পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অনিল চন্দ্র রায়। উপজেলার কাঁটাবাড়ী, অম্রবাড়ী, পুরাতন বন্দর গ্রামের অসহায় দুস্থ ও সুবিধা বঞ্চিত শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে তৈরি পোশাক, শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গী, শার্ট, প্যান্ট বিতরণ করা হয়। শেষ সময়ে পুজোর কাপর পেয়ে আবেগে আপ্লুত অনেকে। তাদের মতে, কাপর নয় এটা আনন্দ গুপ্তের আনন্দ বিতরণ।
লাঠিতে ভর দিয়ে আসা মনি মহন্ত (৮০) বলেন, ছেলে মেয়ে স্বামী কেউ নাই। পরনের কাপরও নাই। একটা শাড়ি পেয়ে অনেক উপকার হল।
বিধবা মিনা সরকার (ছদ্মনাম) বলেন, ছোট ছোট দুটি সন্তানের কাপর কিনতে পারিনি। পুজোতে সবার নতুন জামা দেখলে বাচ্চারা কান্না করত। আনন্দ বাবুর দেয়া কাপর পেয়ে ওরা অনেক খুশি। বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে আমিও খুশি।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, সমাজের অবহেলিত মানুষদের সাথে পুজোর খুশি ভাগাভাগি করতেই আমার এই ছোট্ট উদ্যোগ। এতিম অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সৃষ্টিকর্তাও খুশি হয়।
উল্লেখ্য বন্যা, ঈদ, পুজো, কন্যা দায়গ্রস্তসহ যে কোন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা অর্জন করেছেন আনন্দ কুমার গুপ্ত। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবেই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সচেতন মহল।
Leave a Reply