তপন দাস,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
৬০ বছরের পুরনো রাস্তা টি বন্ধ করে রাস্তার উপর বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ ও উঠেছে সেই প্রতিবেশি আবুল কাশেম ( ৫৫) এবং তার ৩ ছেলের বিরুদ্ধে । এবং পারিবারিক কবর স্হান কে ও নিজের আয়েতে নেয়ার ও অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বেতগাড়া (ব্রহ্মতল) এলাকার মৃত মোখলেছার রহমানের পুত্র ।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ মোখছেদুল ইসলাম (৩০ ) একই এলাকার মৃত মশিয়ার রহমান এর পুত্র।
অভিযোগ কারী মোখছেদুল ইসলাম বলেন এই রাস্তা টি দিয়ে এলাকার হাজারো মানুষ চলাচল করে বিভিন্ন ধরনের ফসল গাড়িতে করে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেত আর এই রাস্তা টি প্রায় ৫০/৬০ বছর ধরে চলমান ছিলো কিন্তু আমার প্রতিবেশি আমার চাচাতো বড় ভাই মোহাম্মদ আবুল কাশেম এই রাস্তা টি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে সে পাকা বাড়ির কাজ করতেছে।
এখন আমি যে একটি বাইসাইকেল অথবা মোটর সাইকেল নিয়ে বের হব তার কোন রাস্তা নেই এবং কি আমি অথবা আমার পরিবারের যদি কোন সদস্য মারা যায় তাকে কবরস্থানে নেওয়ার জন্য যে খাটিয়া টি নিয়ে আসবো তার ও কোন রাস্তা নেই ।
আর আমি আমার পরিবারের লোক দের চলাফেরা করার জন্য এবং এবং এলাকাবাসীর ফসল বাড়িতে নেয়ার জন্য তাদের কাছে একটি ভ্যান চলাচলের জন্য রাস্তা চাইলে তারা আমার উপর হামলা করে তারা আমার বাসায় ও হামলা চালায় , এবিষয় নিয়ে আমি বহু জায়গায় গিয়েছি কিন্তু কোন সাড়া পাইনি , পুলিশ এসেছিলো দেখে গেছে কিছু করে নি এবং ভুমি অফিস থেকে ও লোক এসে দেখে গেছে তারা ও কিছু করতে পারে নি কারন তারা প্রভাবশালী।
তিনি আরো বলেন আমাদের দুই পক্ষের একটি কবর স্থান আছে তারা সেটাও তাদের নিজেদের বলে দাবি করে এবং আমার পরিবারের কোন সদস্য মারা গেলে নাকি তারা সেখানে লাশ কবর দিতে দিবে না । এখন আমি কি করবো ভেবে চিন্তা করতে পারছি না আমি বড় অসহায় হয়ে গেছি , কারন তাদের টাকা আছে তাদের সবেই আছে আমার টাকা নেই তাই আমার কেউ নেই আমি বড় নিস্ব হয়ে গেছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কাশেম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি আমার জমিতে যা খুশি তাই করবো তাতে তাদের কি ।
এই রাস্তা টি আগে বড় ছিলো কারন আগে জায়গাটি ফাকা ছিলো এখন আমার ছেলেদের নিজস্ব বাড়ির প্রয়োজন তাদের কে ও তো বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে ।
রাস্তা বন্ধ করে বাড়ি তৈরি করা একটি বেআইনি বলে এমন একটি প্রশ্ন আবুল কাশেম কে করা হলে তিনি কোন কথা না বলে রাগান্তিত হয়ে বলেন সে ( মোখছেদুল) যদি আমাকে বাড়ি ভাংগার টাকা দেয় এবং তার যাতায়াতের রাস্তার জন্য যদি সে আমাকে অন্যত্র জায়গা ছেড়ে দেয় তাহলে আমি রাস্তা দিতে পারি।
এছাড়াও একটি পুকুর নিয়ে তাদের মারামারি বিষয়ে আবুল কাশেম কে আবারো প্রশ্ন করা হলে তিনি সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন নি।
এদিকে জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়াডের মেম্বার মোহাম্মদ ছানোয়ার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক বার গ্রাম্য সালিশে বসেছিলাম তারা বলেছিলো রাস্তা দেবো তবে তিন বছর পার হলো এখনো তারা রাস্তা না দেয়ায় এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমি চেষ্টা করবো রাস্তা বের করে দেয়ার।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াত হাবিব বাবুর সাথে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদ উন নবীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এবিষয়ে অবগত না কারন এটা বিগত ৩ বছর আগে থানায় করা একটি অভিযোগ আর আমি এখানে আসার ও বেশি দিন হয়নি তবে আমি যেহেতু বিষয় টি জানতে পারলাম তবে বিষয় টি তদন্ত করে দেখবো।
Leave a Reply