মোঃ শাহ্ জালাল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
চলতি মৌষুমে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পাট চাষীরা আসার আলো দেখছেন। অল্প কিছুদিন আগেও অনাবৃষ্টির কারনে পাটচাষিদের কপালে চিন্তার ভাজ থাকলেও সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ার কারনে পাটচাষীরা পুনরায় আশার আলো দেখছেন। পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষক সায়াদ সর্দার জানান, কিছুদিন আগেও বৃষ্টি না হওয়ায় ভ্যাপসা গরমের কারনে পাটে লেদা ও চেলে পোকার সংক্রমন, পাতা ঝরে যাওয়া, পাটের পাতায় ফোসকা পড়া সহ বিভিন্ন সংক্রমনে আক্রান্ত হলেও সম্প্রতি পর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং পরিমান মত কীটনাশক ব্যবহার করায় বর্তমানে সেই সমস্যা কেটে গেছে।
অপর কৃষক সাহেদ আলী বেপারী জানান, চলতি মৌষুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি থাকার কারনে পাটের বিভিন্ন প্রকার সংক্রমন হওয়ায় সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। তাই অন্যান্ন বছরের তুলনায় এ বছর পাটে উৎপাদন খরজ কিছু বেসি হলেও উৎপাদন ভালোই হবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রতি বিঘা পাট উৎপাদনে কত খরজ হয় এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপুরের কৃষক রাসেল খান বলেন মৌসুমের শুরুতে প্রচন্ড তাপাদহের কারনে বারতি সেচ দেওয়ায় খরজ কিছুটা বেসি সবমিলিয়ে প্রতি বিঘায় খরজ হবে প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন হবে ১৬ থেকে ১৭ মন। এব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান চলতি মৌষুমে উপজেলায় মোট পাটের আবাদ করা হয়েছে ৬ হাজার ৫ শত ২৮ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি
Leave a Reply