ইশতিয়াক আহম্মেদ, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি আঙিনায় শুরু হয়েছে তিনদিনের রবীন্দ্রমেলা ও আলোচনা অনুষ্ঠান। (৮ মে)২০২৩ বাংলা ২৫ বৈশাখ ১৪৩০ সামবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুঠিবাড়ি আঙিনায় কিষ্টিয়া জেলা প্রশাসন মোঃ সাইদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খাইরুল আলম,কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দীন খান,কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীর বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা মোঃআজগর আলী,কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান আতা,কেপিসির সভাপতি আলহাজ্ব রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,সহ প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী আফিসার বিতান কুমার মন্ডল,স্বারক বক্তা হিসাবে উপস্থিত ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালায়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডাঃসওরয়ার মুর্শেদ,ও আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শিলাইদহে রবীন্দ্র সংসদ কুমারখালী এস.এম.আফজাল হোসেন এছাড়াও প্রশাসন, রবীন্দ্র গবেষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, কাচারিবাড়সিহ তাঁর সকল স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানান।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়িসহ তাঁর সকল স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে তিনি আরো বলেন যে ডাঃ ইউনুস কে অহেতুক শান্তিতে নবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার পাওয়ার কোন যোগ্যতায় ডঃ ইউনুসের নাই। এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা যদি কারো থেকে থাকে তাইলে সে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিশ্বকবির ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করবেন।এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশিত হয় ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলাকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে।
এদিকে কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়াও তিনি এখানে বসেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।।
Leave a Reply