মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে তিন সন্তানের জনক বদিয়ার রহমান নামের এক লম্পটের কু কর্মের ফলে এক পিতাহারা নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী বাওড়কুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, ৩ সন্তানের জনক লম্পট বদিয়ার রহমান ওরফে মওলানা দীর্ঘদিন ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করে ঘর সংসার করার প্রলোভণ দেখিয়ে ওই নারীর সাথে স্বামী স্ত্রী রুপে সংসার করে আসছে। বদিয়ারের ওই নারীর বাড়ি যাতায়াতের কারণে এলাকাবাসী বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা করলেও লম্পট বদিয়ার দোকান বাকির টাকা পাওয়ার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে তিন সন্তানের জনক বদিয়ার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের মৃত হাকিম মোল্লার মেয়ে মোছাঃ রুপালী বেগম(৩২) বলেন, আমার প্রথম স্বামী ২০১৭ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তারপর থেকে বদিয়ার আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
আমি বার বার বলেছি আপনার স্ত্রী সন্তান সংসার আছে তাও সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভণ দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। ফলে গত ২৩/১১/২০১৮ ইং তারিখে নওয়াপাড়া স্টেশন বাজার মোস্তফা কামাল কাজী অফিসে আমাদের ১ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বদিয়ার আমাকে তার বাড়ি না নিয়ে বিয়ের কথা কাহকে বলতে নিষেধ করে। যে কারনে বিয়ের খবর গোপন রাখি এবং স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করি। কিন্তু আমি বার বার তার বাড়ি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে যেতে চাইলেও আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যেতে দেয়নি। এখন আমার গর্ভে বদিয়ারের সন্তান এখন আমি স্ত্রীর মর্যাদা চায়। এবং বদিয়ারের বাড়িতে গিয়ে সংসার করতে চায়। আমি স্ত্রী হিসাবে তার বাড়ি যেতে এলাকাবাসীকে জানানোর পর সে বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আমাকে রেখে পালিয়েছে। লম্পট ধুরন্ধর বদিয়ার রহমান পুড়াখালী গ্রামের আলহাজ্ব দ্বীন মোহাম্মদ মোড়লের ছেলে।
এবিষয়ে বদিয়ার রহমানের পিতা দীন মোহাম্মদ মোড়ল সবকিছু স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে যে কাজ করেছে তাতে আমি মানুষের মাঝে মুখ দেখাতে পারছিনা ১৫ লাখ টাকা মানুষের কাছে ঋণ করে দেনা বাধিয়ে কোথায় গেছে জানিনা। অন্যদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় নানান রকম শোরগোল শোনা যাচ্ছে, বদিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে মানুষের সঙ্গে অনিয়ম করে আসছে, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় নারী ঘটিত অপরাধের কথা উঠে আসছে, এর আগেও সে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে গিয়েছিল, এ ধরনের ঘটনার কথা প্রকাশ করলে,এলাকার মানুষে বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি হুমকি প্রদান করত। ঘটনার পর এলাকায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে তার গোপন কার্যক্রমের খেসারত দিতে হবে বলে এলাকাবাসী দাবি তুলছে।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এসএম আকিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply