1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে তাহির হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তুষার কান্তি মন্ডল শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, দুই নারীসহ আহত ৪, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ শ্রীপুরে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎযাপন আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করেননা—হরিপুরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়াতে পরিবেশ দূষন রোধে ডাস্টবিন বসাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর আকুতি সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মধ্যে রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি  ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ফুলবাড়ীতে ভোক্তা অধিকার আইনে তিন ব্যবসয়ীকে জরিমানা

রংপুরে দাম না পাওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
  • ৩৩ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। কিন্তু সেই টমেটো তুলতে আগ্রহ নেই কারো। ফলে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টমেটো। শুধু টমেটোই নয়, অন্য সবজিরও চাহিদানুপাতিক দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের মধ্যেই পচন ধরেছে। এমন চিত্র দেখা গেল রংপুর নব্দীগঞ্জ উপজেলা এলাকায়।স্থানীয়রা বলছেন, গরমের কারণে জমিতে পচে যাচ্ছে টমেটো। এ ছাড়া দরপতনের কারণেও টমেটো তুলতে আগ্রহ হারিয়েছেন তারা। এক মণ টমেটো বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বাজারজাত করতে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।কৃষকদের দাবি, রংপুর নব্দীগঞ্জ উপজেলা এলাকার মধ্যে সব মাসেই বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে।

 

উৎপাদিত সবজি সরবরাহ হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছেন নব্দীগঞ্জ উপজেলা এলাকার কৃষকেরা। কৃষিখাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা বা সংরক্ষণাগার থাকলে এ ক্ষতি এড়ানো যেত।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ শুধু সবজি ক্ষেত। যেখানে টমেটো, বরবটি, করলা, লাউ, ঢ্যাঁড়শ ইত্যাদি। জমিতে ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশা চাষিরা। প্রতি বছর নব্দীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে মুন্সী ট্রারি, কাজী ট্রারি, স্বচাণ, ফরি কল্যাণী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সবজি চাষ হয়।ফরি কল্যাণী ইউনিয়নের কৃষক আফজাল বলেন, আমি প্রায় ১৫ শতক টমেটো চাষ করেছি। ধার-দেনা করে চাষ করতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছি, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বাজারজাত করতে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা করে।

 

শিমুল বলেন, ত্রিশ শতকের মতো টমেটো চাষ করেছি। তাতে প্রায় খরচ হয়েছে দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা। ২ মণ টমেটো বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হয় ৭৫০-১০০০ টাকা। বাজারজাত করতে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি। এ ছাড়া অন্য সবজির দামও অনেক কম।কৃষক আমিনুর বলেন, প্রথমদিকে কিছুটা দাম পেলেও মাঝখানে টমেটোর দাম কমে গেছে। কৃষকেরা এখন আর ক্ষেত থেকে টমেটো তুলছেন না। টমেটো তুলতে যে খরচ হয়, বিক্রি করতে হয় তার অর্ধেক দামে। ফলে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park