ইশতিয়াক আহমেদ কুষ্টিয়াঃ
অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের দায়ে ৭৫-কুষ্টিয়া দৌলতপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকার(ফিয়ারি খাতুন) এর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গত (২১ জানুয়ারি) মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সরওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৬১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে ও তা ভোগ দখলে রেখেছেন।সরওয়ার জাহান নিজ নামে ৬টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৯৫ টাকা জমা এবং ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার ৯৩৯ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩, হাজার ৪৩৪ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং-এর সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন।‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।এছাড়া সরওয়ার জাহানের স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখেছেন। এই অপরাধে মাহমুদা সিদ্দিকা ও তার স্বামী, সরওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয় পলাতক।
উল্লেখিত যে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন সরওয়ার জাহান বাদশাহ সেই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করলেও। আওয়ামীলীগ থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু, সরওয়ার জাহান বাদশা তার আপন ছোট ভাই “ব্রিগেডিয়ার চঞ্চল”সেই সময় খুলনা বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করেন এর সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীকে প্রশাসনিক ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখেন।এবং ২০১৮ এর নির্বাচনী হলফনামায় আইন পেশাকে প্রধান পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছিল এই আইন পেশা থেকে তার যেই অর্থ উপার্জন হয় সেটা দিয়ে নির্বাচনী খরচ পরিচালনা করবে বলে হলফনামাই উল্লেখ করেন এবং এমপি নির্বাচিত হন।এবং বছর না যেতেই আঙ্গুল ফুলে যেন কলা গাছ হয়ে যায়” বাদশাহ” পাঁচ বছরে সে শত কোটি টাকার ও শত বিঘা জমির মালিক হয়ে যান তিনি ও তার স্ত্রী। তিনি উপজেলার “আদাবাড়িয়া ও হোসেনাবাদ” মাঠে বিভিন্ন নামে বেনামে এ সব জমি ক্রয় করেন বলে জানা যায়।জানা যায় যে ২০১৮ পরে ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় আবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন ২০২৪ এর নির্বাচনী হরফনামায় যে সম্পদের হিসাব দিয়েছে তা ২০১৮ এর নির্বাচনী হলমার ১০০০ গুণ বেশি।
Leave a Reply