মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৪ নং পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান ও সচিবের বিরুদ্ধে গরীব অসহায় মানুষের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তেমন অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, পায়রা ইউনিয়নে গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে মাসে ফ্রি ৩০কেজি চাল দেওয়া হয়। যে কারনে অসহায় মানুষের মাঝে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে ভিডাব্লিউবি কার্ডের মাধ্যমে ওই ফ্রি চাল দেওয়া হয়ে থাকে প্রতিমাসে চাল বিতরণের সময় প্রতিটি পরিবারের থেকে কার্ড অনুযায়ী ফেরতযোগ্য সঞ্চয় জমা করা হয়ে থাকে। ওই সঞ্চয়ের জমাকৃত টাকা আনুঃ ২ লাখ টাকা তৎকালীন চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান ও সচিব মোঃ হামিমুর রহমান এবং গ্রাম পুলিশ তারক যোগসাজশে আত্মসাৎ করে লোপাট করে নিয়েছে। ফলে ওই ইউনিয়নের ভিডাব্লিউবি কার্ডধারী ২৩৭টি পরিবার পড়েছে চরম বিপাকে ভুক্তভোগীরা জানান আমাদের কষ্টে অর্জিত সঞ্চয়ের ২লাখ টাকা অধিক চেয়ারম্যান হাফিজুর গ্রাম পুলিশ তারক ও সচিব হামিমুর রহমান যোগসাজশে লোপাট করে নিয়েছে। তারা আমাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আমাদের কষ্টে জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায়। এবিষয়ে ৪ নং পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হামিমুর রহমান বলেন, আদায়কৃত সঞ্চয়ের টাকা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের কাছে, আমার কাছে কোন টাকা নেই। এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ তারক বলেন, আমি তখন নতুন চাকরিতে জয়েন্ট করি সচিব টাকা আদায় করেছিলো আমি শুধু পাশে বসে ছিলাম ওই টাকা সব সচিবের কাছে ছিল। এব্যাপারে ৪ নং পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে ৪ নং পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) মিলন বলেন আমি পরে এই বিষয়টি শুনেছি, তারা কিছু টাকা ব্যাংকে জমা করেছে বাকি ২ মাসের টাকা পাবে ওই টাকা আমরা বসে সমাধান করে গরীব মানুষদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দিব। এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক সহকারী কর্মকর্তা আকলিমা বলেন, আমরা এবিষয়টি জানি আমি এনিয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান হাফিজুরের সাথে কথাও বলেছিলাম তারা আমাকে জানিয়েছিল টাকা ফেরত দিবে কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি। ওই সঞ্চয়ের টাকা আদায়কারী এনজিওর দায়িত্ব কিন্তু এনজিওকে ২০২৪ সালে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা ২০২৪ সালের জমাকৃত সঞ্চয়ের হিসাব দিবে। ২০২৩ সালে চেয়ারম্যান, সচিব মিলে যে টাকা আদায় করেছে সে টাকার দায়ভার এনজিওর নেই। ওটা চেয়ারম্যান ও সচিব বহন করবে।
Leave a Reply