মো:আলমগীর হোসাইন,স্টাফ রির্পোটারঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং হত্যা করলো স্বামীকে।
বুধবার দিবাগত রাত ২ টার সময় শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাসিবুল ইসলাম বাদশা শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি মসজিদ মোড় এলাকায় মা মনি ফার্মেসির মালিক।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জানান, প্রাইভেট নিয়ে ঢাকা হতে বাড়ির সামনে দাড় করিয়ে পাশে ফার্মেসি থেকে আমার স্বামী হাসিবুল ইসলাম বসত ঘরের চাবি আনতে গেলে একই এলাকার আকবর ড্রাইভারের ছেলে রুবেলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্য প্রথমে আমাকে উত্ত্যক্ত ও মারধর করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে আমাদের সাথে থাকা ছোট ভাই হানিফ ও গাড়ীর চালক শিমুলকেও মারধর করে।
আমাদের আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন ও আমার স্বামী হাসিবুল ইসলাম চলে এসে প্রতিবাদ করে। এসময় রুবেল, অন্তর, রোমানসহ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমার স্বামী হাসিবুলকে মারতে মরতে মাটিতে ফেলে ইটা দিয়ে বুকে আঘাত করে ফেলে যায়। তাদের আঘাতে আমার স্বামী প্রসাব করে ফেলে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসকগন আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে অন্তর ও রোমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার, বিলাপ করে বলতেছিল, আমি এবং চার সন্তানের দেখাশোনা আর উপার্জনকারী স্বামীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এখন আমি চার সন্তান নিয়ে কি করবো, কোথায় যাব, কার কাছে যাবো, কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবো।
এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী হাসিবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে ৩ জনের নামে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় । এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে অন্তর ও রোমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে অন্তর ও রোমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি রুবেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply