শ্রীপুর, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের নৌকা আটকে দুর্বৃত্তের হামলায় নিখোঁজ যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের খিরু নদির তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মোঃ নুরুজ্জামান (৩০) উপজেলার পশ্চিম সোনাব গ্রামের মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে। সে যুবক একজন পোলট্রি ব্যবসায়ী।
পিকনিকের নৌকায় থাকা যাত্রীরা জানান, গতকাল রোববার নৌকায় আনন্দভ্রমণ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে দুর্বৃত্তরা তাঁদের নৌকায় অভিনব কায়দায় দা, লাঠি,লোহার রড ইত্যাদি দেশিয় অশ্র সশ্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বহুজনকে মারধর, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। হামলায় নিখোঁজ হন নুরুজ্জামান।
স্বজনদের অভিযোগ, দেশীয় অস্ত্রসহ ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত নৌকায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এতে নারী-পুরুষসহ অনেকেই আহত হয়েছে।
পিকনিকে যাওয়া যাত্রী আঃ রউফ বলেন, ঈদ পরবর্তীতে আমরা ৩৫ জনের একটি দল নৌকায় নদীপথে আনন্দভ্রমণে যাই। সকাল থেকে শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে। কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের আব্দুস ছালামের দোকানে পৌঁছানোমাত্র ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট মারধর করে সবার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে । এবং চেয়ার ও বাক্স সহ ডেকুরেটর মালামাল ভাংচুর করে।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, রোববার সকালে ভাই বাড়ি থেকে নদীপথে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে যায়। রাতে হামলার ঘটনা শুনি। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে, তার সঙ্গে আমার ভাইও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়। এরপর সারা রাত ভাইকে খুঁজে তার কোনো সন্ধান পাইনি। আজ সকালে খিরু নদির তীরে ঝোপঝাড়ের ভেতরে ভাইয়ের মরদেহের পাওয়া যায়।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এড, আজিজুল হক বলেন, পিকনিকের নৌকায় হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী কায়দায় পিটিয়ে একজনকে হত্যা করে ও যাত্রীদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ও ডেকুরেটরের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ও ছিনিয়ে নিয়েযায় এবং অনেক যাত্রীরা আহত হয়েছে।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবং যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের আইনের আনাহবে।