মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন সোনালী ধানের সমারোহ। দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৯৬ হাজার ৫শ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ১৪ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮৯, ব্রি-১৬, নাজিরশাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৭ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সোনালি রঙের পাকা ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। এরই মধ্যে পাকা ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকরা ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্লান্তি দূর করতে কাজের ফাঁকে কৃষাণের দল ভাওয়াইয়া গানের সুর ছাড়ছেন।
কাঁটাবাড়ী গ্রামের কৃষক তমাল হোসেন বলেন, এবার আমি ১৫ বিঘা জমিতে ব্রি-৮৯ জাতের ধান চাষ করেছি এবং ১ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী করেছি। কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখাসহ পরামর্শ দিচ্ছেন। আর কয়েরকদিন আবওহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি। এবছর বিঘা প্রতি ৩৩মন ফলন হতে পারে।
খয়েরবাড়ী এলাকার কৃষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, কিছু জমির ধান পাক ধরেছে। বাকি ধান পাকতে আর ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। ফলন অনেক ভাল হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি বছর ফুলবাড়ী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ১৪ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে ৯৬ হাজার ৫শ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছি। বর্তমানে কিছু জাতের ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে যেসব ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে সেগুলো দ্রুত কাটার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল সময়মত ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলেও ফসলের তেমন কোন সমস্যা হবে না। তবে ঝড় এবং শিলা বৃষ্টি হলে ধানের কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2025 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.