1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
  2. dailyaparadhatallase2022@gmail.com : aparadha tallase : aparadha tallase
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিয়ের ৩ দিনপর স্বামী কারাগারে, ফিরে এলেন ১৬ বছর পর লামায় বন্য হাতির আক্রমণে শ্রমিকের মৃত্যু ফুলবাড়ীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে শীতবন্ত্র বিতরন যশোর বেনাপোল চোরাচালান বিরোধী বিশেষ টাস্কফোর্স বেনাপোল বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস জব্দ করেছে বিজিবি নয়াপাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ নাটক রঙিন রূপবান অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ক্রীড়া সেল কমিটির সদস্য হলেন লামার ছেলে নয়ন অভয়নগরে ভিডাব্লিউবি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা লোপাট করলেন চেয়ারম্যান ও সচিব কাউনিয়ায় ফেনসিডিল-এসকাফসহ দুইজন গ্রেফতার রূপসায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুশিক্ষা ছাড়া জ্ঞানার্জনের বিকল্প নাই শ্রীপুরের বেকাসাহরা উত্তরপাড়া হাজীবাড়ী জামে মসজিদের উদ্যোগে দ্বিতীয় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়

র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে আরসার’ সেকেন্ড ইন কমান্ড সহ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১২২ বার পঠিত

এস এম আকাশ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরোঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সেকেন্ড ইন কমান্ড, আরসা প্রধানের দেহ রক্ষীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। এ সময় ২টি বিদেশি অস্ত্র, একটি দেশীয় অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার ২০ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারে র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পের মো. নুরের ছেলে আবুল হাসিম (৩১), ১২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত আলী আহমেদের ছেলে হোসেন জোহার প্রকাশ আলী (৩২) ও ৬ নম্বর ক্যাম্পের নুর আলমের ছেলে মো. আলম প্রকাশ শায়ের মুছা (৩৫)।

র‍্যাব জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার আবুল হাসিম আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড, মো. আলম আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী এবং আলী জোহার আরসার পরিবহন শাখার কমান্ডার। এদের সবার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কয়েকজন আরসা সদস্য ২০ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‍্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত পালানোর চেষ্টাকালে তিন আরসা সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

তিনি জানান, আবুল হাসিম ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসায় যোগদান করেন। সে প্রথম দিকে নেট গ্রুপের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ২০২০-২২ পর্যন্ত জিম্মাদারের দায়িত্বে ছিলেন।

তার নেতৃত্বে ৪ নম্বর ক্যাম্প ও বর্ধিত অংশে আরসার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করেন। পরে আবুল হাসিম সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি আরসার নির্দেশনা মোতাবেক আরসার আধিপত্য বিস্তার জন্য ক্যাম্পে সহিংসতা সৃষ্টি, মারামারি, প্রতিপক্ষ গ্রুপকে ক্যাম্প এলাকা থেকে বিতাড়িত করার জন্য দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা, আরসার টার্গেট করা মাঝি, সাধারণ রোহিঙ্গা ও বিত্তশালী রোহিঙ্গাদের হত্যা ও অপহরণসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

কার্যক্রম শেষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আবুল হাসিম ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এরশাদ, ইমাম হোসেন ও সাব মাঝি সৈয়দ আলম হত্যা, ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আব্দুল হামিদ, মো. কাসিম ও ইউনুস হত্যা এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাছিম হত্যাসহ ৭টি
মামলা রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হোসেন জোহার প্রকাশ আলী জোহার মিয়ানমারে থাকাকালীন আরসার সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব সদস্য অবস্থান করছেন তাদের খুঁজে বের করে পুনরায় আরসায় ফেরত আনা ছিল তার মূল কাজ। ২০২০ সালের প্রথম থেকে তিনি মৌলভী লাল মোহাম্মদ এবং মুফতি আতিকের সহযোগী হিসেবে আরসার কাচারি বা আদালতে বিচার কাজ করতেন। তখন আরসার কাচারিতে বিভিন্ন নির্যাতন ও জরিমানা আদায়ের মূল কাজ করতেন। ২০২২ সালে কোনারপাড়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের পর আরসার কমান্ডাররা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে গেলে তিনি আরসার পরিবহন শাখার কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পান। উখিয়া থানায় তার নামে ২টি মামলা রয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, মো. আলম প্রকাশ শায়ের মুছা ২০১৬ সালে মিয়ানমার থাকতেই আরসায় যোগদান করেন। তিনি মিয়ানমারে প্রথমে আরসার পাহারাদার হিসেবে কাজ করতো এবং পরবর্তীতে আরসা নেতাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনাগমনের ক্ষেত্রে তার মোটরসাইকেলে করে পৌঁছে দিতেন। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।গ্রেপ্তার ৩ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, এক বছরে আরসার ১০১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে ৭টি বিদেশি পিস্তল, ৫২টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ১৪০ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ পিস ককটেল, ৪ পিস আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারি (পারদ)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park