এস এম আকাশ,চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরোঃ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং দক্ষিণ পালং পাড়ায় জনবসতির মাঝে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা “এফবিএম” ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে প্রকাশ্যে বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে ।এছাড়াও পাহাড় কেটে সেই মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় কেটে ভাটায় ইট তৈরির জন্য হাজার হাজার ঘনফুট মাটি মজুদ রাখাসহ ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য অবৈধ কাঠের ডিপো স্থাপনের মাধ্যমে কয়েক হাজার ঘনফুট কাঠ মজুদ রাখা হয়েছে।প্রতিনিয়ত এই কাঠ জ্বালানি হিসেবে ভাটার চুল্লীতে প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে।এই বিষয়ে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নাই।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান সামাজিক নবায়ন ও সংরক্ষিত সবুজ বনাঞ্চল হতে পুরো সিজন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে, একটি সংঘবদ্ধ কাঠ পাচারকারী দল ইটভাটা গুলোতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ সরবরাহ করে আসছে।তারা আরও জানাই যখন ইটভাটার চুল্লি জ্বালানো হয় তখন পুরো এলাকায় উত্তপ্ত, ধুলাবালুর কারণে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, টিকা মুশকিল হয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাটার দায়িত্বরত এক ব্যক্তি জানান রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকযোগে মাটি নিয়ে এসে মজুদ করা হয়।স্থানীয় কিছু কাঠ ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে রাতে ভাটায় কাঠ এনে মজুদ করে।সেখান থেকে ইটভাটার চুল্লীতে পোড়ানো হয়।
এইবিষয়ে জানতে চাইলে আলীকদম পানবাজার বিট, তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তার খান জুলফিকার আলী বলেন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে ইচ্ছে করলেই তো আমরা অভিযানে যেতে পারি না।’এফবিএম’ ম্যানেজার মাইন উদ্দিন বলেন সব ব্রিক ফিল্ডে পাহাড়ের মাটি ও কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হয়, আমরা পোড়ালে দোষ কি।
আমরা জানি অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটা, ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো বেআইনি।অতএব অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটা ও ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বিরোদ্ধে দূত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য রিপোট পেশ করিলাম।
বিশেও তার মজুদ রেখে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে বনবিভাগ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থ নিতে পারে।সেক্ষেত্রে বনবিভাগ চাইলে আমরা অভিযানে যাব।বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখুরউদ্দিন জানান পরিবেশ অধিদপ্তর কাঠ জব্দ করতে পারেনা।
অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার বিষয় হলে ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি মোবাইল কোট পরিচালনা করতে পারেন।
লামা ডিভিশনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল জানান বিআইনি ভাবে অবৈধ জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।নিয়মিত অভিযান চলবে সুতরাং উপরোক্ত বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply