মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দেয়াপাড়া গ্রামবাসীর উদ্যেগে গড়ে তোলা কুঠি শিল্প রাঘব বোয়ালদের যোগসাজশে জমিসহ সরকারি অনুদানের কুঠির শিল্পের ঘর উধাও হয়ে গেছে। ফলে, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বিপাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে তৎকালীন শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ও ওই এলাকার মোজাম শেখ নামে এক ব্যক্তির ১০ শতক জমি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কুঠির শিল্পের নামে সেই বিক্রিত দলিলের মাধ্যমে কুঠির শিল্প স্থাপিত হয়। অত্র কুঠির শিল্প সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিলো ৬৪ জন যাদের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র। সেলাই কাজসহ বিভিন্ন কাজে মানুষদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল ওই কুঠির শিল্প যা আজ রাঘব বোয়ালদের যোগসাজশে ধ্বংস হয়ে গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, তৎকালীন সরকারিভাবে কুঠির শিল্প কর্মকান্ড পরিদর্শন করে অভয়নগর উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর থেকে কুঠির শিল্প উন্নয়নের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে কুঠির শিল্প সমিতির পাকা ঘর নির্মাণ করা হয় এবং সরকারিভাবে বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়া হয়।
কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন আগে ওই কুঠির শিল্পের সরকারি ঘর ওই জায়গা থেকে উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই কুঠির শিল্পের জমি ও ঘর আত্মসাৎ করার জন্য কতিপয় এলাকার কিছু রাঘব বোয়ালদের যোগসাজশে কুঠির শিল্পের নামে একটি ভূয়া ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন করা হয় যার সভাপতি তৎকালীন কুঠির শিল্পের নামে জমি বিক্রয়কারী মৃত- মোজাম শেখের ছেলে সামাদ শেখকে সভাপতি ও মৃত- দিনো খানের ছেলে আমির হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ফলে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির খানের ক্ষমতা বলে ও রাঘব বোয়ালদের যোগসাজশে কুঠির শিল্পের নামে থাকা ১০ শতক জমি সভাপতি ছামাদ শেখের স্ত্রী রওশনারা বেগমের নামে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দাতা আমির খান কবলা দলিল করে দেন। ফলে, এলাকাবাসীর কষ্টে অর্জিত সম্পদ কুঠির শিল্পের ঘর ও জমি উধাও হয়ে যায় এবং এলাকাবাসীর ৬৪ জন সদস্য’র ওই কুঠি শিল্পের ফান্ডে সঞ্চয় জমা থাকা এযাবৎকালের লাখ লাখ টাকা ভূয়া কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে ওই এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েক দফা মিমাংসা করার জন্য সালিশ বৈঠক করলেও কোন সমাধান হয়নি। ফলে, ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এ বিষয়ে ওই কুঠির শিল্পের নামে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন খানের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিমধ্যে মিমাংসা করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি, এবং গ্রামবাসীকে নিয়ে একবার বসেছি। আবার বসে সমস্যা সমাধান করার ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply