এস এম আকাশ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ডাকাতি, অপহরণ, মাদক পাচার, ছিনতাই ও ধর্ষণের মত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিতই।
ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। এ সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কারা এসব অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকে, তা নিরূপণ ও অস্ত্রধারীদের তৎপরতা নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ এর অনুসন্ধান ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজারের চকরিয়া, সিএনজি যোগে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে পেকুয়ার দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৪.১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল পেকুয়া থানাধ দক্ষিণ মেহেরনামা বাজারপাড়া এলাকায় চকরিয়া-পেকুয়াগামী পাকা সড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। চেকপোস্টে তল্লাশী অভিযানের একপর্যায়ে একটি সিএনজি’র ০২ জন যাত্রীর গতিবিধি সন্দেহজনক হয় এবং তারা কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃতদের দেহ তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ০২টি দেশীয় তৈরী এলজি ও ০৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার এবং ০২টি এন্ড্রয়েট ও ০১টি বাটন ফোন, ০৫টি সীম কার্ড, নগদ ৬,৬০০/- (ছয় হাজার ছয়শত) টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্র ব্যবসায়ীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়
১। মোঃ আনছারুল ইসলাম @ টিপু মাস্তান (৪৬), পিতা-হাজী আবদুল মালেক, সাং-সুন্দরীপাড়া, রাজাখালী ইউনিয়ন এবং
২। আমিনুর রশিদ (২৭), পিতা-হাজী আবু তাহের, সাং-পূর্ব জালিয়া কাটা, বারবাকিয়া ইউনিয়ন, উভয় থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিজেদেরকে অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করে। এছাড়াও তারা দেশীয় তৈরী এ সকল অস্ত্র-গোলাবারুদ অত্যন্ত সু-কৌশলে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুস্কৃতিকারীদের নিকট নিয়মিতই বিক্রয় করে আসছিল জানায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেকুয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
Leave a Reply