আহসান হাবীব,স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচরে ৮০ শতাংশ জমিনে একটি মৎস খামারে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর ) রাতে উপজেলার ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চর আমিনুল হক গ্রামে মৃত আবুল খায়ের এর পুত্র আবদুল করিম সোহাগ (৪২) এর মৎস খামারে এ ঘটনা ঘটে।
বিষ প্রয়োগের ফলে প্রজেক্টের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল করিম সোহাগ বলেন, ৮০ শতাংশ জায়গার উপর দীর্ঘদিন ধরে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে আসছি। এবার খামারে পাঙ্গাশ, ব্রিগেড, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, রুই, কাতলসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমার পাশ্ববর্তী মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র মুসলেহউদ্দীন(৫৫) এর সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে, আমি ধারণা করছি মুসলেহ উদ্দিনই শত্রুতাবশত আমার মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করতে পারে, খামারে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় আট থেকে দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুসলেহউদ্দীন বলেন, আব্দুল করিম সোহাগের মাছ নিধনের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
সুবর্ণচর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান জানান, মৎস্য খামারি আব্দুল করিম সোহাগের মাছ নিধনের বিষয়টি শুনেছি, কিভাবে মাছ মারা গেছে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে।
চরজব্বর থানা পরিদর্শক (তদন্ত)জয়নাল আবেদিন জানান, মাছ নিধনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2025 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.