মোহাম্মদ জাবেদ হোসাইন বিপ্লব,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
ওবায়দুল হামজা ছাড়া যে কেউ মুহতামিম হতে ছাত্রদের আপত্তি নেইআল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরসা সদ্য সাবেক মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা ছাড়া মাদরাসার মজলিসে শুরা কমিটি যাকেই মুহতামিম নিয়োগ দিবেন তাতে মাদরাসা আন্দোলনগত ছাএদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
মঙ্গলবার (১২ই ডিসেম্বর) মাদরাসার হল রুমে আন্দোলনগত ছাএদের পক্ষে বেলা ৩ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ছাএদের পক্ষে উপস্থিতি ছিলেন কাশেম আল নাহিয়ান,
লিখিত বক্তব্যে ছাএরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা মাদরাসার আর্থিক অনিয়মের সাথে জড়িত। তিনি নিয়মিত মজলিস শুরার সভা না করে ও মাদরাসার সংবিধান অমান্য করে নিজের খেয়াল খুশি মত মাদরাসা পরিচালনা করে আসছিলেন। শুরা কমিটির চাপে বৈঠক ডাকলেও তা করা হয় বন্ধকালীন সময়ে যাতে ছাএদের বিক্ষোভের মাঝে পড়তে না হয়। মাদরাসার ছাএ থেকে শুরু করে প্রবীন মূহাদ্দিস পর্যন্ত সকলেই তার রোষানলের স্বীকার হয়েছেন। যুগশ্রেষ্ট মূহাদ্দিস আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহর তিন মাস বেতন বন্ধ করে রেখেছেন। অথচ হাফেজ আহমদুল্লাহ তার বূখারী শায়খ (উস্তাদ) তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্ছ সনদের অধীকারী।
সংবাদ সম্মেলনে মাদরাসার ছাএরা আরো বলেন, জামীয়র নায়েরে মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী কাসেমির উপরও শুরু হয় নানা অনাচার-অবিচার। দেয়া হয় মামলা হামলার হুমকি। তাহার এহেন কর্মকান্ড থেকে বাদ যায়নি জামিয়া পটিয়ার শায়খে সানী শাহ্ আবরারুল হক ও মফতি আব্দুল রহমানের খলিফা আল্লাম মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া। নিজে সপ্তাহে কয়েকদিন উপস্থিত না থাকলেও তিনি তার অপছন্দের হুজুরদের হাজিরা খাতায় টুনকো অজুহাতে অনুপস্থিত লিখে দেন। জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবছার বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্হার জিম্মাদার ছিলেন। মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজার ষড়যন্ত্রে তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় সে দায়িত্বটাও। আমাদের আরেক উস্তাদ মাওলানা রহমতুল্লাহ সেপাহী কেও শোবায়ে মূশা’আরার দায়িত্ব দিয়ে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সেটা কেড়ে নেওয়া হয়। তার নিজের অনুগত ছাএদের দিয়ে মাদরাসার প্রতিটি জামাতে জিম্মাদার (ক্লাস ক্যাপ্টেন) করে তাদেরকে দিয়ে গোয়েন্দাগিরি করা হয়।
পরবর্তীতে আল্লামা সুলতান যওক নদভী শুরা কমিটির বৈঠক আহ্বান করে সোস্যাল মিডিয়ায় সহ বিবৃতি প্রদান করলেও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা তা স্থগিত করেন। শুরা কমিটির বৈঠক করার জন্য দফায় দফায় চাপ সৃষ্টি করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। শারীরিক পরিস্থিতিতে ছাএরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করে। গত ২৮ ই অক্টোবর ছাএদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পদত্যাগের পর থেকে তিনি মাদরাসা বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। ছাএরা ওবায়দুল্লাহ হামজার এসব কর্মকান্ডের পিছনে দু’জন এমপি ও প্রসাশনের ইন্ধন রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
Leave a Reply