বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আমরা জানি যেসকল বিয়েতে কনের বয়স ১৮ বছরের কম বা বরের বয়স ২১ বছরের কম থাকে সেই সকল বিয়েকে বাল্য বিবাহ বা বাল্য বিয়ে বলে। ছেলে শিশুর চেয়ে মেয়ে শিশুরাই বাল্য বিয়ের শিকার বেশি হচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে নারীদের সিদ্ধান্তের তেমন মূল্যায়নই করা হয় না। পড়ালেখা, খাবার, বিনোদন এসবের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়।বাল্য বিয়েতে মেয়েরা যে সব সমস্যায় পরতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা।
শারীরিক ও মানসিকভাবে অপ্রস্তুত মায়ের সন্তান জন্মদানের সময় ঝুঁকি দেখা দেয় এবং অনেক ক্ষেত্রে গর্ভধারণজনিত নানা সমস্যা যেমন অবস্টেট্রিক ফিস্টুলার শিকার হতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা নারীদের তুলনায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মৃত্যুঝুঁকি থাকে পাঁচ গুণ বেশি।এই বাল্য বিবাহ বা বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য আমাদের দেশে কিছু আইন কানুন ও চলমান আছে।
কোন ব্যক্তি বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2025 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.