আশরাফুল আলম সরকার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী মো. জুয়েল আড়াই মাসের অসুস্থ শিশুকে টিকা প্রদান করায় শিশুটির অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে।
গত রবিবার (৫ নভেম্বর) টিকাকেন্দ্রে শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে ঘোষণা পেয়ে অন্যান্য শিশুদের মত সাংবাদিক জাকির হোসেন রিংকুর আড়াই মাসের শিশুকে তার বড় বোন টিকা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্যকর্মী শিশুটির শারীরিক অবস্থা না জেনেই শিশুটিকে টিকা প্রদান করেন। অথচ শিশুটির শরীরে জ্বর ও ঠান্ডা ছিলো।
এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্যকর্মী জুয়েলের সাথে কথা বললে জুয়েল জানান, টিকা শুরুর প্রথমে উপস্থিত সকলকে জানিয়ে দেন ঠাণ্ডা-জ্বর আছে এমন শিশুদের টিকা দেওয়া হবে না। কিন্তু যে শিশুটিকে টিকা কেন্দ্রে ঠান্ডা ও জ্বর অবস্থায় টিকা দেয়া হয়েছে তাকে এই ঘোষণার পরে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এজন্য শিশুটির লোকজন ঘোষণা শুনতে পাইনি।
এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মী জুয়েল শিশুটির অভিভাবককে শিশুটির শারীরিক অবস্থা জিজ্ঞাসা না করেই এবং শিশুটিকে না দেখেই ঠান্ডা-জ্বর অবস্থায় টিকা প্রদান করেন।
এ অবস্থায় গত দুই দিনে শিশুটির ঠান্ডা বেড়ে গিয়ে নিমোনিয়ায় রূপ নিলে আজ বুধবার গাজীপুরে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গেলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানান, ঠান্ডা জ্বর অবস্থায় শিশুদের টিকা দেওয়া নিষেধ। শিশুটি বর্তমানে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফয়সালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এদিকে শিশুটির পিতা সাংবাদিক জাকির হোসেন রিংকু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের অসচেতনতার কারণেই আজকে আমার শিশুটির এ অবস্থা হয়েছে। তিনি টিকা প্রদানকালে অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে সচেতনতার সাথে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্টের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply