ইমরান হোসেন, প্রতিবেদকঃ
শিশুর জন্মের পর সপ্তম দিবসে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নবজাতকের মঙ্গলকামনায় এ অনুষ্ঠান পালিত হয়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী এ দিন নবজাতকের নাম রাখা, তার প্রথম চুলকাটা ও কোরবানি দেওয়া সুন্নত।
কোনো কারণে সপ্তম দিবসে এ অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব না হলে শিশু বড় হয়ে নিজেও তা করতে পারে। আকিকা উপলক্ষে কোরবানীকৃত পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ দরিদ্র ও দুঃস্থদের মধ্যে এবং এক ভাগ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাকি এক ভাগ সন্তানের পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়রা গ্রহণ করে।
শিশুর কর্তিত কেশকেও আকিকা নামে অভিহিত করা হয়। শরী’আতে এ কর্তিত কেশের সমপরিমাণ রৌপ্য বা স্বর্ণ দান করার নির্দেশ আছে। আকিকা আরব মরুভূমিতে সর্বাধিক অনুষ্ঠিত উৎসবসমূহের অন্যতম। সমগ্র মুসলিম সমাজেই এ প্রথার প্রচলন আছে। বাংলাদেশে অবস্থাপন্ন মুসলিম পরিবারে খুব জাঁকজমকের সঙ্গে আকিকা অনুষ্ঠিত হয়।
এক সপ্তাহে আগে থেকে আকিকার আয়োজনও করা হয়। নিমন্ত্রণ জানানো হয় স্বজন, প্রতিবেশী এবং গণমাধ্যম কর্মী । তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এই আয়োজনে অংশ নেন অনেকই।
এদিকে তার পরিবারে ছেলে হওয়ার পর থেকে চলছে উৎসব আমেজ।শনিবার ( ২৯ অক্টোবর ) রাত ৮ টায় আয়োজন করা হয় আকিকার অনুষ্ঠান।
পিতা কে এম রুবেল অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সবকিছু হয়েছে। এতে আমি খুশি। ধর্মীয় বিধান মেনে আকিকা দেওয়া আমার কর্তব্য।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2024 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.