শাহনেওয়াজ শাহ্, বিজয়নগর প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন এর খিরাতলা গ্রামের সৈয়দ হোসেনের বাড়িতে ঘরের ভেতর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তারবাহী বিদ্যুতের খুুঁটি থাকায় প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটছে পারিবারটির। ঘরের ভেতরে বিদ্যুতের খুঁটি থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি বিদ্যুতাড়িত হওয়ার শঙ্কায় দিন গুনছে। ঘরের ভেতর থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তা আমলে আনছেন না বলে অভিযোগ পরিবারটির। বাড়ির উত্তর ও দক্ষিণ পাশের খুঁটি সরিয়ে অন্যথায় নেওয়া হলেও ঘরের ভিতরের দুটি সরানো হচ্ছে না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন এর খিরাতলা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের একতলা ঘরের ভিতর পল্লী বিদ্যুৎের খুঁটি। ছাদ থেকে হাই ভোল্টেজ সম্পন্ন তার হাত বাড়ালেই নাগাল পাওয়া যায়। আশেপাশের খুঁটিগুলো সরানো হলেও এ দুটি খুঁটি আগের জায়গায় রয়েছে।
এব্যাপারে সৈয়দ হোসেন জানান পল্লী বিদ্যুতের লোকজন আশেপাশের দুপাশের খুঁটিগুলো অপসারণ করলেও আমার ঘরের উপরে থাকা দুটি খুঁটি সরায়নি। আমার কাছে তারা অনেক টাকা চেয়েছিল, আমি দিতে পারি নাই বলে তারা খুঁটিগুলো সরায়নি। এমতাবস্থায় আমরা আতংঙ্কে আছি। যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুঁটিগুলো থাকার চাদে কোনো কাজ করা যায় না। ঘর উপরের দিকে তুলতে পারছি না। খুঁটিগুলোর জন্য আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। এগুলো সরিয়ে নিলে অনেক উপকার হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আবুল বাশার বলেন, গ্রাহকের সমস্যা হলে অফিসে লিখিত আবেদন করলে আমরা সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।
আশেপাশের খুঁটি সরানোর হলেও এই খুঁটি গুলো সরানোর হয়নি কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, খুঁটি সরানোর জন্য আগে জরিপ করে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করানো হয়। জরিপের সময় হয়তো এই খুঁটি গুলো সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তাই ঠিকাদার নির্দিষ্ট কাজের বাহিরে কাজ করবে না বলে এই খুঁটি সরানোর হয়নি।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে আমার কাছে কেউ লিখিতভাবে কোন প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেনি এবং এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। খুঁটি সরানোর জন্য লিখিত কোন আবেদন পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2025 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.