লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
নিহত আয়রিন আক্তার কুড়িগ্রামের অলিপুর থানার কুরপুরা গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী। তিনি স্বামীর সঙ্গে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। রাজু মিয়া শ্রীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
আয়রিন আক্তারের বোন আফরিন আক্তার বলেন,দুই মাস আগে আয়রিনের বিয়ে হয় পাশের গ্রামের রাজুর সঙ্গে। বিয়ের এক সপ্তাহ পর থেকে সে স্বামীর সঙ্গে থাকত। আজ আয়রিন আত্মহত্যা করছে বলে আমাকে ফোন করে জানায় বোনের দেবর সাজু। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পাই। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে তেমন বনিবনা হতো না।
এ বিষয়ে নিহতের দেবর সাজু মিয়া বলেন, দিনের কোনো এক সময় আমার ভাবি বাথরুমের ভেতর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে সবাইকে অবহিত করেন। এরপর বাসার মালিক পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে রাতে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কী কারণে ভাবি আত্মহত্যা করল কিছুই বলতে জানি না।
এস আই আবু রায়হান দৈনিক অপরাধ তল্লাশিকে বলেন,স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনের কাছ থেকে জানতে পারছি বিয়ের পর থেকে আয়রিন স্বামীর সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলত না। স্বামীকে অপছন্দ করত। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পারি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply