1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
  2. dailyaparadhatallase2022@gmail.com : aparadha tallase : aparadha tallase
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অভয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীর উপর হামলা ১ জন আহত, থানায় মামলা ডাসারে গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা  লামা উপজেলায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাংবাদিকদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ‘পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন বিষয়ক সভা ফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ, আহত ৪ অভয়নগরে মানুষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির আত্মহত্যা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সিআইডি পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ ভাউলার হাট মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় ১ পথচারীর মৃত্যু ফরিদপুরে সালথা উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ফারুক ফকিরের লিফলেট বিতরণ  একশত তিন বছর বয়সে সংসারের ভার খইমুদ্দিনের কাঁধে

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা মাড়াই

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২০৪ বার পঠিত

মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা মাড়াই। খড় ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের গোলায় ধান পৌঁছে দিচ্ছেন। বিনিময়ে খড় নিয়ে গো-খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপ জেলায় ধান কাটার মজুরি সর্বনিম্ন ৫শ টাকা। প্রতি একর জমিতে ধান কেটে মাড়াই করতে ২০-২৫জন শ্রমিক প্রয়োজন হয়। এতে ১০-১২হাজার টাকা মজুরি পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়া যে পরিমান কাঁচা খড় পাওয়া যায় তা বাজারজাত করতে বাড়তি শ্রমিক ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্য দিকে কোন ঝুট ঝামেলা ছাড়াই খড় ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে ধান কেটে মাড়াই করে দেয়। ফলে কৃষকের শ্রমিক বাবদ অর্থ বাঁচে। এতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা কার্যক্রম।

উপজেলার আলাদিপুর, এলুয়ারী, শিবনগর ইউপির আদর্শ ক লেজপাড়া, দাদপুর, গোপালপুর, আলুরডাঙা, আমডু ঙ্গিহাট সহ বি ভিন্ন এলাকার উঁচু জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়। এই ধানের বৈশিষ্ট্য হল খুব কম সময় ও গাছ কাঁচা থাকতেই ধান পাকে। ফলে এর খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

সরেজমিনে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙ্গীহাট এলাকায় দেখা যায়, আগাম জাতের ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা। তারা জানান, গৃহস্থের (মালিকের) কাছে এক একর জমি ঠিকা(চুক্তি) নিয়েছেন। সব ধান কেটে মাড়াই করে দিবেন। পারিশ্রমিক হিসেবে যাবতীয় খড় তারা নিয়ে বাজারে বিক্রি করবেন। এতে একদিকে গৃহস্থ (জমির মালিক) কে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না, অন্য দিকে ব্যবসায়ীরাও খড় বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন।

 

শিবনগর ইউনিয়নের কৃষক স্বপন বলেন, দেড় একর জমিতে জটাপারি ধান চাষ করেছি যা খড়ের বিনিময়ে চুক্তিতে দিয়েছি। তারা ধান কেটে মাড়াই করে বস্তাজাত করে দিবে। এতে আমার শ্রমিকের মজুরি বাবদ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। একই এলাকার ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, চার বিঘা জমিতে ৯০ জিরা ধান চাষ করেছি। খড়ের বিনিময়ে ধান কাটতে দিয়েছি। ৯জনের একটি দল ধান কাটছে।

একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য বছর এই সময় এক বোঝা (২০টি) খড়ের আঁটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও বৃষ্টি বাদল তেমন না থাকায় এবার ৪০/৫০টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি একরে ২৫০ হতে ৩০০ বোঝা খড় হয়। খড়ের দাম কম থাকায় খড়ের বিনিময়ে ধান কর্তন বেশ লাভজনক মনে হচ্ছে।

 

কথা হয় খড় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, পাঁচ বছর ধরে এভাবেই ধান কাটা মাড়াইয়ের চুক্তি নি‌চ্ছেন। খড়ের বিনিময়ে ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেওয় হয়। ওই খড় গরুর খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করি। আমাদের দলে ১২জন শ্রমিক রয়েছে। খড় বিক্রয়ের টাকা যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে ভাগ করে নিই। এতে আমরাও লাভবান হচ্ছি, কৃষকও লাভবান হচ্ছে। প্রথম দিকে কৃষক চুক্তি দিতে রাজি না হলেও এখন অনেক জনপ্রিয় এই কার্যক্রম।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park