ইশতিয়াক আহম্মেদ,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর জামাইপাড়া গ্রামের মৃত মকলেছুর রহমানের পুত্র,প্রতারক মোঃ আরিফ রেজার স্ত্রী অর্থ কেলেঙ্কারি ও প্রতারনা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাহফুজা জাহানকে দৌলতপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।দৌলতপুর থানা পুলিশের তথ্য মতে জানা যায় উপজেলার একই ইউনিয়নের পূর্ব ফিলিপনগর গোলাবাড়ি পাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সাধারণ সহজ সরল ও নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে প্রতারক আরিফ রেজা কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলাতে টেলিফোন অফিস(বিটিসিএল)এ অস্থায়ী, চুক্তি ভিত্তিক চাকুরী করতো,আরিফ রেজা তার এই চাকুরিকে পুজি করে অত্র বিভিন্ন জেলা-উপজেলার অসহায় ব্যাক্তিদের কাছ থেকে চাকুরি দেওয়া বলে নিজেরা সিন্ডিকেট তৈরি করে,নানা কৌশল অবলম্বন করে অনেকের সাথে প্রতারনা করেছেন,একপর্যায় আরিফের এমন আচরণের জন্য তাঁর প্রথম স্ত্রী ডিভোর্স প্রদান করে আরিফকে,পরে আরিফ দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সে দ্বিতীয় স্ত্রীর কে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট করে,আরিফ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর চেক দিয়ে ভুক্তভোগীদের সাময়িকভাবে শান্তনা প্রদান করে,এর-ই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগীরা চেক ডিজনার করে আদালতে আশ্রয় গ্রহন করে,একপর্যায়ে আদালত প্রতারক আরিফের স্ত্রীকে সাজা প্রদান করে।বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায় আরিফ তার আপন ভাই তারিক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সহ বিভিন্ন জনকে নিয়ে বিশাল সিন্ডিকেটের বিস্তার করেছে দেশের বেশ কিছু জেলা,উপজেলাতে।
সর্বশেষ আত্মগোপন করে ২ টি জেলাতে, কখনো নারায়ণগঞ্জ,কখনো সিলেটে।আরিফ,তারিক ও আরিফের স্ত্রী এলাকা ছাড়া ছিলো দীর্ঘদিন।উল্লেখিত ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে ২০১৬ সালে টাকা গ্রহন করে।৩০/০৯/২০২৩ ইং তারিখ শনিবার সাজাপ্রাপ্ত কে গ্রেফতারকরেন এএসআই আল-আমিন। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার স্যারের এর পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা ও ভেড়ামারা সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনা এবং দৌলতপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর জামাইপাড়া এলাকা হতে পুলিশের একটি টিম সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহফুজা জাহানকে গ্রেফতার করি।
তিনি আরও বলেন,২০১৯ সালে কুষ্টিয়া জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় মাহফুজা জাহানকে ৭ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি উক্ত মামলার সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।উল্লেখিত মামলার রায় প্রদানের অনেক আগে থেকেই আসামী পলাতক ছিল।
Leave a Reply