মোঃ কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন জনাব মাহফুজুল হক জুনু। তিনি একজন শ্রমিক নেতা, সমাজ সংস্কারক,রাজনীতিবিদ এবং সফল জন প্রতিনিধি।
তিনি কর্মজীবনে মুঘবুলের রহমান জুট মিলের শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৯-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সীতাকুণ্ড, বাড়বকুণ্ড ও ফৌজদার হাট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯-১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি টানা পাঁচ বার মুঘবুলের রহমান জুট মিলের শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯-২০১১ সালে তিনি আবারও শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং শ্রমিকদের পাশে থেকে নিজের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন। ২০১১ সালে সফলতার সাথে শ্রমিক রাজনীতির পরিসমাপ্তি করেন।
১৯৯৭-২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি টানা চার বার জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এলাকার মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেন এবং চার বারই তিনি ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন
একই সাথে তিনি রাজনীতিতে ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন শাখার চার বারের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একাধারে তিনি একজন সফল শ্রমিক নেতা, একজন জনপ্রতিনিধি এবং একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
এসব কিছুর উর্ধে তিনি একজন ন্যায়বিচারক,সমাজ সেবক,শিক্ষানুরাগী, সৎ এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যার কাছে মানব সেবায় রাত দিনের কোন তফাৎ নেই। যখনই মানুষ বিপদে পড়ে উনার কাছে ছুটে আসেন তখনই তিনি চেষ্টা করেন মানুষকে উদ্ধার করতে। যদিও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারপরেও এলাকার বিচার ব্যবস্থা এবং সমাজ ব্যবস্থায় সৎ, ন্যায়পরায়ন এবং নিজের আদর্শ থেকে কখনো পিছুপা হউন নি।
এলাকার মানুষকে তিনি নিজের পরিবারের মতই ভালোবাসেন। ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন বাসী উনার আন্তরিকতা ও মহানুভবতায় মুগ্ধ। উনার মত একজন সৎ,ন্যায়বিচারক,শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক,আদর্শের বাতিঘর ও মানবতার ফেরিওয়ালাকে পেয়ে সত্যিই ১২নং খৈয়াছড়া বাসী অনেক অনেক গর্বিত।
Leave a Reply