মাহবুব আলম রানাঃ
মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি বা রেহায় পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তানভীর হোসেন নামের এক ভূক্তভোগী।
১৯/০৬/২৩ রোজ সোমবার সকালে নওগাঁয় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৭/০৬/২৩ রোজ শনিবার নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার ১ নং ইউনিয়ন, ৬ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা আব্দুস ছালিম এর পুত্র তানভীর আলম সহ উক্ত এলাকা এবং আসপাশের এলাকার আরো ৭ জনের নামে ১৪৮ বোতল ফেন্সিডিল (এম কে ডিল) সহ মিথ্যা মাদক মামলা সহ পলাতক মামলা দেওয়া হয় বলে নওগাঁতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন!
অভিযোগকারী তানভীর আলমের সাথে উক্ত মামলার প্রধান সাক্ষী (১) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো.দিলদার হোসেন।
এছাড়াও অভিযোগকারীর বাবা এবং চাচা-ও উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন!
অভিযোগকারী তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১০ মে থেকে ১৮ মে যাবত তিনি ব্যাবসায়িক কাজে ঢাকাতে অবস্থানরত ছিলেন।
কালুপাড়া এলাকাতে না থাকাকালীন সময়ে কিভাবে বিডিআর তার নামে এই মিথ্যা মামলা ধামুইরহাট থানায় দায়ের করলেন এবং ৮ জনের নামে পলাতক মামলা কিভাবে দেওয়া হলো এ বিষয়ে মতবাদ পেশ করেন।
ধামুইরহাট ক্যাম্পের নায়েব মো. মিজান যার রেজিমেন্ট নং ৬৩৩৯৩ এবং লেস নায়েব মো.হাফিজুর রহমান যার রেজিমেন্ট নং ৮২৬৮৬, এই মাদক চালানটি পরিচালনা করেন বলে জানা গেছে।
সাক্ষী (১) সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, ঘটনাস্থলে কেউ ছিলেন না শুধু নায়েব সাহেব সহ লেস নায়েব আর ১ জন বিডিআর সহপাঠী তাকে একটা কাগজে সাক্ষর করতে বললে তিনি উক্ত মামলার বিষয়ে অজানা ছিলেন যার প্রথমাবস্থায় রাজি না থাকলেও পরিস্থিতি তাকে মামলার সাক্ষী করতে বাধ্য করেন। তিনি এটা ও জানান, মামলাতে কোন ব্যাক্তির নাম উল্লেখ ছিলো না শুধু কয়টি মাদক পাওয়া গেছে সেটার সপক্ষে তিনি সাক্ষর করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তানভীর আলম এটাও জানান, নায়েব মিজান এর সাথে পূর্বশত্রুতার জের থাকাকালীন সময়গুলোতে তাকে নায়েব এর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগকারীর বাবা, চাচা এবং সাক্ষী (১) উক্ত মিজান নায়েব এর বিষয়ে অসন্তোষজক মতবাদ ব্যাক্ত করেন।
মামলার বিষয় টি নিয়ে উক্ত নজিপুর – ধামুইরহাট রেঞ্জের সিও এবং ধামুইরহাট থানার ওসির নিকট জানতে চাইলে উভয়েই উক্ত বিষয়টি নিয়ে তার নিজস্ব দপ্তরের নিয়মঅনুযায়ী তদন্ত করছেন এবং সঠিক তদন্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত সকলেই উক্ত মামলায় তানভীর সহ স্বাধীন, মুকুল, উজ্জ্বল সর্বোমোট ৪ জন এবিষয়ে একেবারেই নিরপরাধ হিসেবে দাবী করেন
সর্বোপরি, মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং একটি স্বার্থান্নেসী কুচক্র মহলের প্রধান হিসেবে মিজান নায়েব এর সাথে উক্ত ৪ জনের শত্রুতা থাকার ফলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা ও মানহানি করার উদ্দেশ্য এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে ও সুযোগ্য বিচার চেয়ে তিনি বা তারা সাংবাদিক মহল এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি আর্কষন করেছেন এবং মানহানি থেকে মুক্ত হতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply