1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে তাহির হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তুষার কান্তি মন্ডল শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, দুই নারীসহ আহত ৪, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ শ্রীপুরে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎযাপন আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করেননা—হরিপুরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়াতে পরিবেশ দূষন রোধে ডাস্টবিন বসাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর আকুতি সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মধ্যে রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি  ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ফুলবাড়ীতে ভোক্তা অধিকার আইনে তিন ব্যবসয়ীকে জরিমানা

সাভারে বিরুলিয়ায় দেশি-বিদেশি ফুল চাষে খ্যাতনামা মনির মেম্বার-দৈনিক অপরাধ তল্লাশি 

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ১৫৬ বার পঠিত

মো.মাইনুল ইসলাম, সাভার:

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ৭ নং বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের তিন তিনবারের নির্বাচিত সদস্য মো.মনিরুল হক। তিনি এলাকায় সফল জনপ্রিয় মনির মেম্বার হিসাবে খ্যাত, তিনি তিনবার নির্বাচিত একজন মেম্বার তার বিগত দিনের ও বর্তমান নিয়ে আমাদের একান্ত সাক্ষাৎকারে তার ব্যর্থতা ও সফলতা নিয়ে আলাপ করেন, তিনি একজন সফল ফুল ব্যবসায়ীও বটে।

 

বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল হক বলেন, আমি এবার নিয়ে তিনবারের নির্বাচিত জন- প্রতিনিধি।আমাকে আমার এলাকাবাসী ভালোবেসে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন। তাই প্রথমে আমার এলাকাবাসীকে আপনাদের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাই, তবে আমার উন্নয়ন ও ব্যর্থতা উভয়ই রয়েছে। প্রথমে উন্নয়ন বলতে আপনারা বিগত দিনেও দেখেছেন বর্তমানেও দেখছেন এবং দেশ যখন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে তখন আমাদের দেশের ইউনিয়ন পরিষদ গুলো উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম-গঞ্জ রাস্তাঘাট কালভার্ট এবং সরকারের নেওয়া উদ্যোগ সমূহ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিগত দিনগুলোর তুলনায় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জনগণকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে।
যেরকম উদাহরণস্বরূপ : বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, টিসিবি’র কার্ড প্রদান, নাগরিক সুবিধা সহ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক সেবা প্রদান করে আসছে।

 

তিনি আরো বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সকল বরাদ্দ পেয়েছি সব জনগণ এবং উন্নয়নের পেছনে বিলিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া আমি বিগত দিনে ও বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে আমার এলাকার মানুষ সুখে দুঃখে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজের শ্রম ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। এবং আল্লাহ পাক আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন ততদিনই জনসাধারণের খেদমত করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আমার বাবা আব্দুল হক আল্লাহর রহমতে এখনো বেঁচে আছেন তিনিও একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনিও এলাকার সর্ব সাধারনের খেদমত করেছেন। মনিরুল হকের কাছে তার নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনাদের পুরো ১২ বছরের হিসাব করতে হবে না, এই এক বছরের হিসাবেই করেন, দেখবেন যে আমার ওয়ার্ডের পূর্বে অবস্থা কি ছিল? এখন কি হয়েছে তাতেই বুঝতে পারবেন পুরো উন্নয়নের চিত্র। আমি নিজে কিছু বলতে চাই না আমার এলাকাবাসীর কাছেই জিজ্ঞেস করুন। তারাই আপনাদের ভালো মন্দের ব্যাপারে বলবেন।

 

তার ব্যর্থতা সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জন প্রতিনিধিত্ব করতে গেলে একটু আধটু সমস্যা হতেই পারে। একজন মানুষ কখনো সকলের কাছে ভালো হতে পারে না। আবার একজন মানুষ ন্যায়- নিষ্ঠাবান সত্যবাদী হলেতো কারো না কারো কাছে সমালোচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। একজন মানুষ সকলের চাহিদা মেটাতে পারে না। তবুও আমি চেষ্টা করি সকলের সমস্যা সমাধানের। তবে কারো অনৈতিক চাহিদা মেটাতে আমি পুরোটাই ব্যর্থ। আমি আমার ব্যর্থতা বলতে এটাই মনে করছি, তবুও আমার এলাকার সকলকে নিয়ে ভালোই আছি এবং পরস্পর সবাই সবার আত্মীয়-স্বজন।

মাদকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদক জানামতে আমার ওয়ার্ডের কেউ বিক্রি করে না, কিন্তু যারা সেবন করেন তারা কোথা থেকে আনেন জানিনা। তবে আমার সামনে পড়লে এবং আমি জানতে পারলে মাদক সেবন কারীকে উপযুক্ত শাস্তিমূলক শিক্ষা দিয়ে দেই। আমি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং মাদকের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রকার ছাড় নেই। আমার পক্ষ থেকে ওয়ার্ড বাসিকে জানানো আছে যে, মাদক বিক্রি এবং সেবনকারী যে কেউ হোক না কেন? আপনারা মাদকের ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় দিবেন না। আমাকে অথবা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে ।

মনিরুল হক ইউপি সদস্য হলেও একজন সফল ব্যবসায়ী তার নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা হলো: দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ফুল চাষ করে থাকেন। এসকল ফুল চাষে ব্যয়বহুল খরচ হয়,যেমন খরচ তেমনই আয় ও oহয় বটে। এই ফুল চাষে ২৪ ঘন্টায়ই জনবল লাগে, তাতে করে বেকার লোকজনের কর্মসংস্থানের চাহিদা মিটছে।

সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়ন একটি গোলাপগ্রাম হিসাবে বিশ্বের কাছে সুপরিচিতি। এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটন ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে। আর বিদেশি ফুল চাষ মুষ্টিমেয় হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ করেন না। কারণ আগেই বলেছি এতে ব্যয় বহুল খরচ যা সকলের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না।

 

মনিরুল হকের দুই ভাই ও মা-বাবা মিলে এখনো যৌথ ফ্যামিলিতে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। তার প্রতিবেশী আলাউদ্দিন ওরফে আলফা দোকানদার বলেন, এলাকাবাসীর জন্য কাজ করেছে বিধায় বারবার মনির কে আমরা নির্বাচিত করেছি। যেমন রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন মানুষের সুখ দুঃখে সবসময়ই পাশে থেকেই সহযোগিতা করেছেন। ৫ নং ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মানুষ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, একজন মানুষ যদি জনগণের উন্নয়নে কাজ না করতেন তাহলে কি মনিরুলকে আমরা বারবার মেম্বার বানাইতাম? তিনি জনগণের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন বিধায় মনির মেম্বার শুধু ৫ নং ওয়ার্ড ভিত্তিক না পুরো এলাকায় অর্থাৎ সারা বিরুলিয়া ইউনিয়নে তার সুনাম এখনো অক্ষুন্ন আছে এবং আমরা আশা করছি আগামী নির্বাচনেও আমরা ৫ নং ওয়ার্ড বাসি মনির মেম্বারকে পুনরায় নির্বাচিত করে তার সম্মানকে অক্ষুণ্য রাখবো ইনশাআল্লাহ।

বার্তা প্রেরক :
মো.মাইনুল ইসলাম, সাভার ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park