মোঃ কামাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আবু বক্কার মোল্লার ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের অভিনব প্রতারণার শিকার এলাকাবাসী। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষকতার আড়ালে বিভিন্ন বাল্যবিয়ে পড়ানো ভূয়া কাবিন নামা তৈরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেন। আরও জানা গেছে, ঐ ভূয়া নামধারী প্রতারক বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন রেজিস্ট্রার কাজীর নাম ভাঙিয়ে বিয়ে পড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন। তার প্রতারণার কারণে বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সরকারি রেজিস্ট্রার কাজী শাহ আলম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে ঐ প্রতারক শিক্ষককের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও প্রভাবশালীদের ইন্ধনে ঐ ভন্ড প্রতারক পার পেয়ে গেছে। এমনকি ঐ সরকারি কাজীর স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কাবিন নামা বানিয়ে ব্যপক অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এক ভূয়া স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে কাবিননামার কপি এই প্রতিবেদকের হাতে আসে দেখা যায় রেজিস্ট্রার কাজী শাহ আলমের স্বাক্ষর জাল করা এবং কাজীর স্বাক্ষরের সাথে কাবিননামার স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। উক্ত কাবিন নং-৩৪/২৩ তারিখ ১৫/০২/২০২৩ ইং। ফলে ঐ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অনেকেই বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রতারক মাদ্রাসা শিক্ষকের অপকর্মের শেষ নেই, ঐ প্রতারক শিক্ষককতার আড়ালে বিভিন্ন গ্রামে নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে একাধিক বাল্যবিয়ে পড়ানোর সাথে জড়িত রয়েছে। এবিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে বলেন, আমি কাজী শাহ আলমের সহকারী হিসাবে কাজ করি যা হয়েছে কাজির সাথে মিমাংসা করে ফেলেছি, আপনারা সাংবাদিকরা আমার কি করবেন? আপনি প্রশ্ন করার কে?আপনার কি লাইসেন্স আছে? যা পারেন তাই করেন, আমিও দেখতে চাই আপনারা আমার কি করতে পারেন? এই বলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন।
এবিষয়ে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সরকারি রেজিস্ট্রার কাজী শাহ আলম বলেন, ঐ ভন্ড মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আমার কোন সহকারী নয়, সে নিজে বই তৈরি করে আমাকে ক্ষতি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের রেজিস্ট্রারের নামীয় জাল সীল ব্যবহার করে বিয়ে ও তালাক রেজিষ্ট্রেশন করছে যা আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রনীত বাংলাদেশ গেজেট এর ২২(৩) ও ২৫ ধারার পরিপন্থী যে কারণে আমি বিভিন্ন দপ্তরে ঐ ভূয়া প্রতারকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
জগনাথপুর শিবানন্দপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমার মাদ্রাসায় আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন ক্বারী শিক্ষক আছে, তিনি শিক্ষককতার আড়ালে কি করে না করে আমার এটা জানা নেই, তা ছাড়া আমার কাছে যদি কেউ অভিযোগ দেয় সেটা আমি দেখবো। তিনি আরও জানান, আমার বাড়ি ৩০ কিঃ মিঃ দুরে আর ঐ শিক্ষক স্থানীয় যে কারনে অনেক কিছু জেনেও আমার কিছু বলার থাকেনা, তার হয়তো অন্যকোনও শক্তি আছে এখন আপনারা যদি কোনও কিছু করতে পারেন তা শুধু আপনাদের বিষয়।
Leave a Reply