প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ১০:০৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২২, ২০২৩, ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
শ্রীপুরে মাদক নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি-দৈনিক অপরাধ তল্লাশি
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মাদকসেবন কারীদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১মে) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার (ঢাকা-ময়মনসিংহ) মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মুলাইদ গ্রামের রঙ্গীলা বাজার টু মাওনা বাজার আঞ্চলিক সড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সবুজ মিয়া উপজেলার মুলাইদ গ্রামের হামেদ আলীর মেয়ের জামাতা,সে স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শশুর বাড়িতে থাকেন। এখানে থেকে সবুজ মিয়া মুদি দোকানদারি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একাধিক জনে জানান,সবুজ মিয়া মাদক সেবন করে। তবে আমাদের চোখের আড়ালে বিক্রয় করে কিনা তা তারা জানেনা। কিশোরগঞ্চ জেলার হোসেনপুর উপজেলার বিন্দাকরইকান্দি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে সবুজ মিয়া।
মাদক কিনতে আসা শামীম ও শরিফ জানান,আমরা মাঝে মধ্যে সবুজের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট কিনে নিয়ে সেবন করি। রোববার আমাদের চারটি ইয়াবা দেয়ার কথা বলে টাকা নেয় সবুজ কিন্তু টাকা নেওয়ার পর একটি ইয়াবা দিয়ে চলে যেতে চায় সবুজ। বাকি টাকা ফেরৎ চাইলে পরে দিবে বলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে সবুজ। এর এক পর্যায় সবুজের সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়।
ব্যস্ত ছাইফুল নামক এক ব্যাক্তি জানান,শামীম আমার ভাতিজা আর সবুজ আমাদের এলাকার জামাই বিষয়টি আমরা পারিবারিক ভাবে সমাধান দেওয়া হবে । এসময় ব্যস্ত ছাইফুল সংবাদ কর্মীদের চলে যেতে বলেন, এবং তাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান। সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষের মধ্যে সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানান ব্যস্ত ছাইফুল।
এবিষয়ে সবুজ মিয়া জানান, শামীম ও শরিফ আমার দোকানের কাস্টমার প্রায় সময় আমার দোকান থেকে কেনাকাটা করে। এই সুবাদে তাদের সাথে পরিচয় হয়। তবে আমি মাদক বিক্রি করিনা,মাঝে মধ্যে সেবন করি। সেবন করার কথা শিকার করে সবুজ মিয়া আরও বলেন,শামীম ও শরিফ আমার কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট কিনে নিয়ে সেবন করার কথা মিথ্যা বলেছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা আল আমিন জানান,সবুজ মাদক বিক্রি করেনা তবে মাঝে মধ্যে সেবন করে। রোবাবার বিকালে বাড়ির পাশে সবুজের সাথে ২/৩ জন যুবক বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির রূপ নেয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে লোক জন চলে আসলে ব্যস্ত ছাইফুল তাদের মধ্যে একটা মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে এর বেশি কিছু আমি জানিনা।
ঘটনার ব্যাপারে উপস্থিত এক মুরব্বিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, আমরা গিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছি। এবং ব্যস্ত সাইফুল সহ স্থানীয় মুরব্বিরা বলেন, নিজেদের মাঝে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে, আমরা তার সমাধান করে দিবো। প্রশাসনকে খবর দেওয়ার দরকার নেই।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2024 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.