ইশতিয়াক আহম্মেদ, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া বিআরবি ক্যাবল কোম্পানির ভুয়া বিল ভাউচারে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৩ টাকা উত্তোলনের দায়ে ভিন্ন ৩ টি মামলায় কুষ্টিয়া বিআরবি ক্যবলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ১১ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। (১৮ মে) বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী খান এই আদেশ দিয়ে জেলা কারাগারের প্রেরণের আদেশ দেন।আটককৃতরা হলেন বিআরবি ক্যবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটের ক্যাশিয়ার আলফাজ হোসাইন, জুনিয়র ক্লার্ক সারওয়ার-ই রেজা, ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম ওবায়দুল , সিনিয়র কনট্রাকশন মোঃ শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম সোহেল, সিনিয়র উপ সহকারী প্রকৌশলী কন্ট্রাকশন এ জে মোহাম্মদ নেমেরি, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী রাকিব হোসাইন, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, পলাশ এন্টার কন্ট্রাকশনের ঠিকাদার মোহাম্মদ সিদ্দিক, মেসার্স কেরু বিশ্বাসের মালিক কেরু বিশ্বাস ও টাইস সরবরাহকারী খাইরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে আছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটের ওয়্যারস এন্ড কেবলস, এ্যালুমিনিয়াম কন্টাক্টর, সুপার এনামেন্ড কপার ওয়ার, ফ্লোরোসেন্ট ল্যাম্প ব্যালাস্ট, এমসিবি, ফ্যানসহ আনুষঙ্গিক মালামাল ও সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। ২০২০ সালে ৩০ মে অভিযুক্তরা বিআরবি ক্যবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এ ক্যাশ অফিসার সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের সময়ে ঠিকাদারদের প্যাড জাল স্বাক্ষর করে ভুয়া বিল ভাউচারে তৈরি করে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৩ টাকা উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে বি আর বি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের এর পক্ষে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া ম্যানেজার (এষ্টেট) রবিউল ইসলাম ভুয়া বিল ভাউচারে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৩ টাকা উত্তোলনের অভিযোকের নথিপত্র যাচাই বাছাই করে ভুয়া বিলের সত্যতা পাওয়া পর বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৪৭ জন আসামীদের নাম উল্লেখ পূর্বক ভিন্ন ভিন্ন ৩ টি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিআইডি তদন্ত শেষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে উপস্থিত ৪৭ জনের মধ্যে ১১ জনকে জেলাকারাগারে প্রেরণ করেন।
প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-১৩,ঢাকা
Copyright © 2024 দৈনিক অপরাধ তল্লাশি. All rights reserved.