তপন দাস,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে টিনের চালা টাঙ্গিয়ে চলছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম , এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে বিদ্যালয় টি শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রচন্ড রোদ আর ঝড়বৃষ্টি অপেক্ষা করে চলে এই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম , এবং বৃষ্টির মধ্যে ও ভিজে ক্লাস করতে হয় খুদে শিক্ষার্থীদের ।
বিদ্যালয় টি হলো নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার কৈপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে ডিমলার কৈপাড়া নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টির ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবণ নির্মাণ করা হয় এবং ভবন টির বয়স ৩০ বছর হওয়ায় এবং ভবমটি অতি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ার কারনে ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে অর্থাৎ গত ৭ মাসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ।
এরপর থেকে বিদ্যালয়টির প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রোদে পুড়ে , বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করে যাচ্ছে , সামান্য বৃষ্টি আসলে বই খাতা গুছিয়ে একটি কোনায় লুকাতে হয় শিক্ষার্থীদের। এদিকে বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা জানান প্রখর এই রোদে টিনের চালার নিচে ক্লাস করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী । আর বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে । তাই এ অবস্থায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ । আর বিদ্যালয়টিকে স্বাভাবিক রাখতে হলে নতুন ভবন তৈরি করা জরুরি বলে আমরা মনে করি আর আমাদের লাইব্রেরি টি পরিত্যক্ত ভবনে থাকায় আমাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেখানে আছে। এদিকে ক্লাসে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান আমরা খুব কষ্ট করে বই পড়ছি কারন গরমে আমরা পড়া পড়তে পারি না আর খাতায় ও লেখতে পারিনা ঘামের কারনে খাতা ভিজে যায় আর গরমের কারনে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পরি এবং বৃষ্টির দিনে আমাদের আরো ভোগান্তি পোহাতে হয়ে বৃষ্টি আসলে আমরা ক্লাস করতে পারি না বই খাতা ভিজে যায় ।
কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান আমরা চাই দ্রুত বিদ্যালয়টির একটি নতুন ভবন তৈরি করা হোক কেন না ভবন টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর থেকে বিদ্যালয়টির খুদে শিক্ষার্থীরা টিনের চালার নিচে ক্লাস করছে এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে তারা রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্লাস করতে হচ্ছে খুদে শিক্ষার্থীদের তাই আমরা একজন সচেতন নাগরিক বা অভিভাবক হিসেবে জোরদাবি করছি যে খুদে ছাত্র ছাত্রী দের কথা চিন্তা করে প্রশাসন যেন অতিদ্রুত একটি নতুন ভবন তৈরি করে দেয়। এবিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানা বলেন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর থেকে অনেক কষ্টে আমাদের পাঠদান চালিয়ে আসছি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি । আর বিদ্যালয়টির নতুন ভবন তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তি পক্ষের কাছে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে । এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নবেজ উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিদ্যালয়টির জন্য নতুন ভবন তৈরি করা জরুরি বলে আমি ও মনে করি তাই বিদ্যালয়টির নতুন ভবন তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃ পক্ষ কে জানানো হয়েছে।
এদিকে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন বিদ্যালয়টির ভবণ ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কারনে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে । এবং শিক্ষকেরা ঝুকিপূর্ণ ভবনের পাশে একটি টিনের চালায় ক্লাস নেয়ার কারনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়টিতে নতুন একটি ভবন তৈরি করার জন্য বা নতুন ভবন এর বরাদ্দ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তি পক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে ।
Leave a Reply