এইচ এম শাহিন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
শুরু থেকেই তাকে কৌশলী মনে হচ্ছিলো। নীরবে কিছু একটা করে ফেলার প্রবল ইচ্ছে তার। হাঁটছেন পথ ধরে, যাকে পাচ্ছেন পরিচয় পর্ব সেরেই নিজের অনুভূতি শেয়ার করছেন। বাদ পড়ছে না বৃদ্ধ বয়সের মুরুব্বীরাও। টার্গেট একটাই- যেকোনো মূল্যে দেশের একমাত্র শিল্প নগরীর নগর পিতা হয়ে নগর বাসীর খেদমত করা। বলেছিলাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান এর কথা। নিজের দল কিংবা ভিন্নমতের যে কাউকে আপন করে নিচ্ছেন নিজের কৌশলে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনে অনেকটা সফল আপাতত। শেষ পর্যন্ত কতদূর যেতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষায় শিল্প নগরীর ভোটাররা।
গাজী আতাউর রহমান চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও স্বীকৃত মুখপাত্র। যার কারণে দেশজুড়ে রয়েছে তার বাড়তি পরিচিতি। নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে তার সাংগঠনিক শ্রদ্ধাবোধ। ইতিমধ্যে গাজীপুরের সচেতন মহলও গাজী কে দেখছে ক্লিন ইমেজের একজন পরিচ্ছন্ন আলেম সংগঠক হিসেবে। স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মানুষদের কাছে ভালোলাগার মানুষ মিস্টার আতাউর। দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে। ৫৭ বছর বয়সী আতাউরের একসময়ের সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, বন্ধুপ্রতিম ছাত্র নেতা সবাইকে নিয়ে এসেছেন এক টেবিলে। স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ গাজীর বাল্যকালের সাথী। যার কারণে প্রচারণায় পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।
গাজী আতাউর এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে প্রচার-প্রচারণায়। সময়ের আগেই খুব একটা ঢাকঢোল পিটিয়ে ভোটের মাঠ সরগরম করতে নারাজ, গাজীর টার্গেট শুধুই নীরব বিপ্লব। অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সমর্থন পেতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ইতিমধ্যে গোপনে সমর্থন দিয়েছেন স্থানীয় ইসলাম পন্থী রাজনীতিকদের বড়ো একটা অংশ। বাকিরাও খুব শীঘ্রই সমর্থন দিয়ে দিতে পারে, প্রেক্ষাপট তাই বলছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল বলছে, গাজীর মতো একজন ইসলাম পন্থী ঝানু রাজনীতিবিদ গাজীপুরের নগর পিতা হলে গাজীপুর সিটি হবে দেশের শীর্ষ বসবাসযোগ্য নগরী। তবে চরমোনাই পন্থীরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে প্রচারে নগরীর নামের সাথে গাজীর নামে মিলে যাওয়ায়। ভিন্নমতের অনেকেও বলছে, গাজী-ই প্রথম, গাজী-ই সেরা!
Leave a Reply