গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার বড়মা চৌরাস্তা গ্রামের মোঃ শামীম সৈাদি আরব যাওয়ার জন্য ঢাকাস্থ রাবাহ্ ইন্টারন্যাশনাল জষ ১২৯১ তে, সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জমা দেয়। পরে বিষয়টি জানতে রাবহ্ ইন্টারন্যাশনালে যোগাযোগ করলে শামীম নামে কারোর কাছ থেকে টাকা নেইনি বলে অস্বীকার করেন রাবাহ্ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, শামীমের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ডকোমেন্টারি হিসাবে রাবাহ্ ইন্টারন্যাশনাল ১লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। যা সোনালী ব্যাংকের অঈ ঘঙ- ০১০৫৭০২০০০৩৬৯, চেক ঘড় ঈঊ- ১০০ ৮৯০৭৩৭৫, রাবাহ্ ইন্টারন্যাশনাল এর অফিসিয়াল চেক। প্রতারনা করে টাকা নিয়ে শামীমকে কোন ভিসা দেওয়া হয়নি, অথচ শামীমকে ভূয়া ভিসা এবং মেইন পাওয়ার দেওয়া হয়। বিমানের টিকেট ও শামীম এর পাসপোর্ট নাম্বার- অ০৩১৮৫২৫২, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভূয়া মেইন পাওয়ার তথ্য। এই সূত্র ধরে যাওয়া হয় নেত্রকোনার নাগরা স্টাফ কোয়াটার ফিঙ্গার প্রিন্ট অফিসে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট অফিসের কর্মরত অফিসার রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, ভিসা এবং ব্যাংক ড্রাফ ছাড়া কোন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেই না।
তিনি উত্তর না দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। ভূয়া ভিসা দিয়ে কিভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করেন বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাই অন্যপথে। পরিচয় গোপন রেখে ঢাকার এক দালালের মাধ্যমে নেত্রকোনার ফিঙ্গার প্রিন্ট অফিসের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ৫,০০০/- হাজার টাকায় চুক্তি হয়, এতে দালাল ১,০০০/- হাজার এবং রফিকুল ইসলাম ৪,০০০/- হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নেন। দৈনিক আজকের আলোকিত সকালের বিশেষ প্রতিনিধি পাসপোর্ট দিয়ে, দালালের মাধ্যমে ফিঙ্গার করাই, যার পাসপোর্ট নাম্বার- অ০৬২০৫১৫৮। আমরা যখন রফিকুলের নিকট ভিসা এবং ট্রেনিং সার্টিফিকেট দেখতে চাই তখন তিনি বলেন, আমি কোন ভূয়া কাজ করি না।
দিনের আলোর মত পরিষ্কার তিনি পাসপোর্ট নাম্বার- অ০৬২০৫১৫৮ এর পুরো কাজটিই ভূয়া করেছেন। সে দেখাতে পারেন নাই ট্রেনিং সার্টিফিকেট সাথে থাকা আমার পাসপোর্ট বের করে দেখাই যে, পাসপোর্টে কোন ভিসা হয় নাই। তখনি বেরিয়ে আসে মূল রহস্য যেহেতু পাসপোর্টধারী ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার যাত্রী না, উনি একজন সংবাদকর্মী, রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার দালালের মাধ্যমে এগুলো কাজ করে থাকি, প্রতিজনের কাছ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকি। অথচ ফিঙ্গারের সরকারি ফি ব্যাংক ড্রাফ হচ্ছে ২২০/- টাকা। টাকার বিনিময়ে রফিকুল সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রতিনিয়ত চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য।
রফিকুল ইসলাম রফিকের অনৈতিক লোভে আজ বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভুক্তভোগী মোসা: হামিদা, গাজীপুর জেলার বাসিন্দা পাসপোর্ট নাম্বার- অ০৫৪০১১২৩ হামিদার কাছ থেকে নেওয়া হয় ৫,০০০/- টাকা, নেই কোন ভিসা ট্রেডিং সার্টিফিকেট, মোঃ রুস্তম আলী মন্ডল, নওগাঁ জেলার বাসিন্দা পাসপোর্ট নাম্বার অ০২২৪৬০৫১ রুস্তম আলী মন্ডলের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৫,০০০/- হাজার টাকা, নেই কোন ভিসা নেই কোন ট্রেনিং সার্টিফিকেট নেই কোন ব্যাংক ড্রাফ। দালালদের খপ্পরে পড়ে তাদের মত অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব, ঘরবাড়ি ছাড়া।
এভাবেই অসহায় মানুষদেরকে ঠকিয়ে নেত্রকোনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম রফিক আজ কোটি টাকার মালিক।
Leave a Reply