বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা কোচিং বাণিজ্যের খেলা। দিনদিন বেড়ে চলেছে কোচিং বাণিজ্য, এতে অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আরো অভিযোগ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে নিউজ প্রকাশিত হওয়ায় কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকরা বিভিন্ন অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মা বলেন, স্কুলের স্যার এসে হুমকি দিয়ে গেছে কোচিং এর বিষয়ে আর কোনও অভিযোগ করলে আমার মেয়েকে পাশ করানো হবেনা ফেল দেখানো হবে। এমন নানান ধরনের হুমকির শিকার হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীর বাবা মায়েরা।
উল্লেখ গত কিছুদিন আগে,অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের অন্যান্য এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮১ জন অভিভাবক কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন। ইতোমধ্যে ৮১ জন অভিভাবক কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন। তাছাড়া আবেদনপত্রের অনুলিপি যশোরের জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এমপিওভুক্ত ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মডেল স্কুলের আশপাশে নিজস্ব বা ঘরভাড়া করেছেন তারা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে সরকারি নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এটি বর্তমানে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
ফলে শিক্ষার্থীদের পরিবারের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে এবং ব্যয় নির্বাহে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষকরা সপ্তাহে তিনদিন পড়িয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি মাসে এক হাজার টাকা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি টাকা নিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বার বার কোচিং বাণিজ্যে বন্ধ করার বিষয়ে উপজেলায় বিভিন্ন সভায় উপস্থাপন হলেও কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও প্রকার পদক্ষেপ অভয়নগরবাসীর নজরে আসেনি। ফলে চরম আতংক ও ক্ষোভে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে মোটো ফোনে দৈনিক অপরাধ তল্লাশি কে জানান, কোচিং বাণিজ্য বন্ধের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে সত্যতা পেলে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply