1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কাপাসিয়াতে পরিবেশ দূষন রোধে ডাস্টবিন বসাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর আকুতি সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মধ্যে রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি  ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ফুলবাড়ীতে ভোক্তা অধিকার আইনে তিন ব্যবসয়ীকে জরিমানা বান্দরবানের “লামায় মহান ১২ ই রবিউল আউয়াল যশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত রংপুরে দাফনের ৫৮ দিন পর লাশ উত্তোলন ফুলবাড়ীতে বালু ভর্তি ট্রাক্টর থেকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবাররি আটক লোহাগাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্রদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়

শ্রীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের সততা মিললো–দৈনিক অপরাধ তল্লাশি 

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৭২ বার পঠিত

ক্রাইম রিপোর্টারঃ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাথের  সত্যতা পেয়েছেন জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।
দুর্নীতি করে নামমাত্র প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরে গত বছরের ৫ অক্টোবর “শ্রীপুরে গায়েবি ৮প্রকল্প টাকা আত্মসাতের অভিযোগ  ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক স্হানীয় সরকার বিভাগের গাজীপুরের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানকে আহবায়ক এবং গাজীপুর স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শাকিল হোসেন ও গাজীপুরের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস এলাহীকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য  এবং স্থানীয় একাধিক মুক্তিযোদ্ধা,শিক্ষক প্রকল্পের সাথে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য,এবং অভিযোগকারী অন্যান্য ইউপি সদস্যগণ, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্যসহ সরেজমিনে তদন্তে করেন কমিটি।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটটি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার প্রমাণ পেয়েছে মর্মে  ৮৫ পৃষ্ঠায় একটি তদন্ত প্রতিবেদন ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর গাজীপুর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের কেবলমাত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আটটি প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
যে সকল রাস্তায় প্রকল্প দেখানো হয়েছে সে সকল প্রকল্পের রাস্তার মধ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে এলজিইডির ৪টি প্রকল্পের সাথে  ওভারল্যাপিং করে অর্থাৎ আগে থেকেই এলজিইডি কর্তৃক রাস্তা গুলো পাকা করণ করা ছিলো এমন রাস্তায় প্রকল্প দেখানো হয়েছে।অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই প্রকল্পসমুহ নেয়া হয়েছে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া পত্রিকায় দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে  প্রকল্পের অন্যান্য রাস্তায় যেটুকু কাজ করা হয়েছে সেটুকু শুধু লোক দেখানো বলে তদন্ত প্রকিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  বাস্তবে তদন্ত কমিটি দৃশ্যমান কোন ধরনের কাজের  মিল খোঁজে পায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি চেয়ারম্যান। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে চেয়ারম্যান কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়াই প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেয়া বক্তব্যে শ্রীপুর উপ-সহকারি প্রকৌশলী রোমেল বড়ুয়া বলেন, তিনি ৩৫১নং স্মারকের১৩/৪/২০২২তারিখে ৮টি প্রকল্পের প্রক্কলন  তৈরী করেন কিন্তু ওই কাজ সম্পর্কে কখনও তাকে জানায়নি এবং এ কাজ সম্পর্কে তিনি জানেন না।

৫০লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ মাত্র ৪দিনে সম্পন্ন হয়েছে দেখিয়ে কাজ শেষ করার আগেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।এঘটনার সঙ্গে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ছাড়াও তৎকালীন সচিব নজরুল ইসলাম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড  সদস্য  হারুনুর রশীদ  জরিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকল্প সাতখামাইর পাকা রাস্তা হইতে দাইবাড়ি টেক অভিমুখে রাস্তায় কার্যাদেশ অনুযায়ী কোনরুপ কাজ করা হয়নি, সাতখামাইর বাজার হইতে রেললাইনের পাশদিয়ে ডালেরশ্বর অভিমুখে রাস্তায় ইটা বালি দিয়ে সংস্কারের কথা থাকলেও কোন কাজ হয়নি। দরগারচালা বাজার হইতে ডালেরশ্বহর অভিমুখে রাস্তায় দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। এছাড়াও বাকি প্রকল্প গুলোর দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটি আহবায়ক স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান কে  জানান,গনমাধ্যমের প্রতিবেদন ও অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক গঠিত তদন্ত কমিটি, তদন্ত শেষে গত ২১ নভেম্বর ২০২২ সালে ৮৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান কে বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কালে অভিযোগের বেশ কিছু অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি গত ২১ জানুয়ারী স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান,সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিধি মোতাবেক পরবর্তী  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ইউনিয়ন পরিষদ অধিশাখা) মোহাম্মদ ফজলে আজিম মুঠোফোনে বলেন,পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদনটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যানের অসদাচরণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বরমী ইউনিয়নের ৭জন ইউপি সদস্য বিগত প্রায় ৬মাস যাবৎ পরিষদে যাচ্ছেনা। ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সুমন আহমেদ জানান,চেয়ারম্যানের একঘেয়েমি অসদাচারণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও তার লালিত বাহিনী কর্তৃক অপমানিত ও নানারকম লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে তাদেরকে।
দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং  মান-সম্মনের ভয়ে তারা পরিষদে না গিয়ে হাটে-বাজারে, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে জনগণের প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ শে মার্চ)চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করে জনগনের প্রাপ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে  বরমী ইউপি সদস্যগণ গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। অবিলম্বে এর প্রতিকার চান বরমী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি সদস্যরা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বরমী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, এলজিইডি রাস্তার  সাথে ওভারল্যাপিং প্রকল্প গুলোর মধ্যে ৩টি রাস্তা অন্য এলাকায় করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে তার দুর্নীতির সম্পৃক্ততার সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park