আহসান হাবীব, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
হারিছ চৌধুরী বাজার জিরো পয়েন্টে (আল-আমিন হোটেলের সামনে) ফল বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার
চর ক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ডের ইব্রাহিমের ছেলে কিশোর মোঃ হাসান।
হারিছ চৌধুরী বাজার জিরো পয়েন্টে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফল বিক্রি করেন হাসান।
প্রতিদিন ১০ থেকে ১৬ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেন হাসান। চার ভাই বোনের মধ্যে হাসান দ্বিতীয়।
সংসারে অভাবের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পার হতে পারেনি হাসান।
কিশোর বয়সেই বাধ্য হয়ে তাকে ধরতে হয়েছে সংসারের হাল।
হাসানের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি এলেন ফল কিনতে। তিনি বলেন, হাসানের দোকান ছোট হলেও ওর দোকানে মৌসুমি দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করা হয়। আমি হাসানের দোকান থেকেই সবসময় ফল কিনি।
হাসানের দোকানে আপেল, কমলা, কলা, আঙুর, বেদানা, পেঁপেসহ সব মৌসুমি ফল পাওয়া যায়।
ফল বিক্রেতা হাসান বলেন, আত্মীয় স্বজন থেকে ধার দেনা করে আমি জিরো পয়েন্টে একটি ফলের দোকান দেই। এর পর থেকে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করে। এখন বেশ ভালোভাবেই চলছে আমার সংসার।
তিনি আরও বলেন, বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে অল্প কিছু টাকা দিয়ে ফলের ব্যবসা করেও স্বাবলম্বী হতে পারেন। ৫০-৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা অনায়াসে রোজগার করা যায়।
দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করে হাসানের মতো আরো অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারে এমনটি ধারণা হাসানের।
Leave a Reply