শেখ সুলতানা,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বৈশিক আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে, বদলে গেছে তিস্তা নদী। লাগইস ও সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে ধূধু বালুচরে চাষ হচ্ছে রসালো মিষ্টি তরমুজ, এবার লাল টকটকে ও মিষ্টি তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। সামনের রমজান মাসে তরমুজ ক্ষেত উঠা শুরু হবে। ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আশা করেছেন কৃষকেরা। জানা যায়, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর সাইফোন তিস্তা নদীর ধূ ধূ বালু চরের প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে তরমুজ।
এখানের চরে হওয়া তরমুজের জাত ছিল উঁচ্চ ফলনশীল জাত। কার্তিক মাসে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তখন তিস্তা নদীতে বিশাল ধূ ধূ বালু চর জেগে উঠে। এই সব চরে বালু মাটিতে সারিবদ্ধ ভাবে গর্ত খুঁড়তে হয়। তারপর সেই গর্তে অন্যত্র হতে মাটি, গবর, পরিমিত পরিমান রাসায়নিক সার ও জৈব সার দিয়ে গর্ত পূরণ করতে হয়। এই ভাবে গর্ত কয়েক দিন রেখে দেয়ার পর প্রতিটি গর্তে ৩/৪টি করে উঁচ্চ ফলোনশীল জাতের তরমুজের বীজ রোপন করতে হয়। রোপনকৃত বীজ হতে চারার অংকুর বেরুয়। সেই অংকুর কয়েক দিনের মধ্যে চারা গাছে পরিনিত হয়। ৩/৪ ইঞ্চি চারা গাছে পরিনিত হলে গর্তে দিতে হয় নিয়মিত পানি সেচ। তরমুজ ধীরে ধীরে ফসলের ক্ষেত হতে উত্তোলন করা যায়।
আবার উত্তোলিত তরমুজ কোন ফ্রিজাফ ছাড়াই এক মাস সংরক্ষণ করা যায। তাই তরমুজ চাষ এ উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধূ ধূ বালু চর গুলো পরিণিত হয়েছে ফসলের মাঠে। তিস্তা নদী হতে ভারত সরকার একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তাই শুস্ক মৌসুমে খরস্রোতা তিস্তা নদীতে পানি থাকেনা। তখন জেগে উঠে বিশাল বিশাল ধূ ধূ বালু চর। চাষীরা জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এসব ধূ ধূ বালু চরকে পরিনিত করেছে ফসলের মাঠে। বালু চর এখন আর অবহেলার পাত্র নয়। বালুতেও সোনা ফলানো যায়।
তার প্রমান দিগন্ত জোরা সবুজ তরমুজের মাঠ। চাষি খোকন জানান এবছর ৫হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আগামী তে আরো বেশি পরিমাণ করা হবে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা।
Leave a Reply