1. admin@aparadhatallasi.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কাপাসিয়াতে পরিবেশ দূষন রোধে ডাস্টবিন বসাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর আকুতি সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মধ্যে রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি  ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ফুলবাড়ীতে ভোক্তা অধিকার আইনে তিন ব্যবসয়ীকে জরিমানা বান্দরবানের “লামায় মহান ১২ ই রবিউল আউয়াল যশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত রংপুরে দাফনের ৫৮ দিন পর লাশ উত্তোলন ফুলবাড়ীতে বালু ভর্তি ট্রাক্টর থেকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবাররি আটক লোহাগাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্রদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়

যশোর শার্শার গাছে গাছে আমের মুকুলে আশা চাষিদেরবাম্পার ফলন ফলবে–দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৩ বার পঠিত

মোঃ নজরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করা গেলে আমের ‘বাম্পার’ ফলনের।
যশোরের আম বাগানগুলোর গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের মুকুল; এ অঞ্চলের চাষিরা এখন মুকুল রক্ষায় গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে ফলন রক্ষায় দফায় দফায় কীটনাশক দিচ্ছেন গাছে। মুকুল বেশি আসায় এ বছর আম উৎপাদন `রেকর্ড’ গড়বে বলে আশা করছেন চাষিরা।

শার্শার গ্রামগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, বাগান ছাড়াও বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়ের সব আম গাছে হিমসাগর, গোবিন্দ ভোগ, অম্রপালি, ফজলি ও ল্যাংড়াসহ নানা জাতের আমের মুকুল ভরে গেছে।

শার্শা উপজেলায় দুই হাজারেরও বেশি আমচাষি অন্তত সাত হাজার বিঘা জমিতে এবার আমচাষ করেছেন বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল বলেন, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর এই অঞ্চলের গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করা গেলে আমের ‘বাম্পার’ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।”

শার্শার গাছে গাছে আমের মুকুলে আশা চাষিদের
হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, আম্রপালি, রুপালী, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের তিন হাজার ১৪৪টি আমের বাগান শার্শা উপজেলায় আছে বলে জানান তিনি।

আমের কারবার নিয়ে এই অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান হয়ে থাকে জানিয়ে প্রতাপ আরও বলেন, “মুকুল ধরে রাখা, গুটি আনা, গুটি ঝরা বন্ধ করা ও গুটিকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় আম চাষিরা বিরামহীনভাবে পরিচর্যা করছেন।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আমচাষি ইস্রাফিল হোসেন বলেন, “এখনই মুকুল রক্ষা করার সময়। পোকা ও ছত্রাকের হাত থেকে বাগান রক্ষা করতে না পারলে আমাদের পথে বসতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

বাগআচড়া মাঠপাড়ার নূর ইসলাম ‘বারোমাসি’ আম চাষ করেছেন ৯ বিঘা জমিতে। এর মধ্যে ৩ বিঘা জমিতে ‘কাটিমন’ ও ৬ বিঘা জমিতে ‘বারি-১১’ জাতের আম চাষ করেছেন।

এক লাখ টাকা খরচ করে তিন লাখ টাকা আম বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

নূর ইসলাম বলেন, “চার বছর আগে বাগানটি তৈরি করেছি; মোট এক হাজার ৮০০ গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই আম ধরেছে। কিছু দিনের মধ্যে পেঁকেও যাবে। বছরে দুবার আম পাওয়া যায়। এখন প্রত্যেকটি গাছে অন্তত এক মণ করে আম পাওয়ার আশা করছি।”

পঁচিশ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৫০ বিঘার ২৫টি আমবাগান লিজ নিয়ে বছর শেষে সাড়ে সাত থেকে আট লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন জামতলার আমচাষি গোলাম আজম।

তিনি বলেন, “এ বছর আম গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল আসায় এ অঞ্চলে আমের ‘বাম্পার’ ফলনের আশা করা হচ্ছে। তবে শেষমেশ দেশের আমের বাজার কোন অবস্থায় যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।”

আম গাছে পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষায় তরল কীটনাশক ব্যবহার করছেন চাষিরা; এতে মুকুল ‘সতেজ’ থাকবে এবং ফলন ‘ভালো’ হবে বলে মনে করেন তিনি।

বড়বাড়িয়া গ্রামের বাগান মালিক শাহাজান আলি বলেন, গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার তার আমের গাছগুলোতে মুকুল বেশি এসেছে। তবে বেশ কিছুদিন থেকে তার গাছগুলোতে ‘হপার’ নামের এক ধরনের পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করছেন; তাই কীটনাশক দিচ্ছেন।

সামটা গ্রামের ২৫ বিঘা আম বাগানের মালিক জহুরুল হক জলু বলেন, প্রতিবছর আমের মুকুল দেখে লাভের আশায় বুক বাঁধেন; কিন্তু নানা কারণে মুকুল ঝরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তেমন একটা লাভ হয় না তার। এ বছর নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেছেন; বিশেষ করে ‘হপার’ পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে মুকুলকে রক্ষা করতে কয়েক দফা তরল কীটনাশক স্প্রে করিয়েছেন তিনি।

গোলাম আজম, সামটার শাহাজান আলি, বারিপোতার দেলোয়ার হোসেন, জহুরুল হক, বড়বাড়িয়ার শাজাহান আলি, বাগআচড়ার নুর ইসলাম, ইদ্রিস আলি, নাভারনের রবিউল ইসলামসহ একাধিক আমচাষি ও ব্যবসায়ী জানান, অন্য বছরের মতো এবারও তারা প্রতিটি বাগান মালিককে অগ্রিম ৩০-৪৫ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘার একটি করে বাগান কিনেছেন। পরিচর্যায় বিঘা প্রতি আরও ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এক বিঘার একটি বাগান থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা লাভ হবে। বিঘা প্রতি এক লাখ টাকা পর্যন্ত আম বিক্রি করা সম্ভব বলেও মনে করছেন এই আমচাষিরা।

শার্শা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ বালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার উপজেলায় মোট তিন হাজার ১৪৪টি আমবাগান রয়েছে। মোট জমির পরিমাণ সাত হাজার ১৯৩ বিঘা (৯৫৯ হেক্টর)। দুই হাজার ৬৭ জন চাষি এসব আম বাগানের মালিক।

১৩২ হেক্টর জমিতে ল্যাংড়া জাতের আম, ৪২০ হেক্টর জমিতে হিমসাগর জাতের আম, ১৯০ হেক্টর জমিতে রুপালি, ১৫ হেক্টর জমিতে বারি-৪, ২ হেক্টর জমিতে কাটিমন ও ২০০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, “বারি-৪, বারি-১১ ও কাটিমন জাতের আম গাছে বছরে দুই বার ফলন পাওয়া যায়। অসময়ের আম হওয়ার কৃষকরা দামও ভাল পাচ্ছেন। তাই অনেকেই এই জাতের আম গাছ লাগানোর আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক অপরাধ তল্লাশি

Theme Customized By Shakil IT Park